নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন পালন
মাহিয়া সাবরিন, গাজীপুর ।।
গাজীপুরের নন্দনকানন নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন । মোমবাতি প্রজ্বলন, সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করল তার পরিবার, স্বজন ও ভক্ত-পাঠকরা।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নুহাশ পল্লীতে ১ হাজার ৭৪টি মোমবাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে জন্মদিনের আয়োজন শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতসহ লেখকের ভক্তদের নিয়ে জন্ম দিনের কেক কাটেন।
এর আগে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে আসেন। রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীর কর্মচারীরা ১হাজার ৭৪টি মোমবাতি জ্বালিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম দিনের কার্যক্রম শুরু করেন। সকাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা ছুটে আসেন নুহাশ পল্লীতে। লেখকের পরিবার, নুহাশপল্লীর স্টাফ, ভক্ত পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা শেষে লেখকের ম্যুরালের সামনে কেক কাটা হয়।
সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে হুমায়ূন আহমেদের দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে-এমন প্রত্যাশার কথা জানান লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে তাকে গাজীপুর সদর উপজেলা পিরুজালী গ্রামের তার প্রতিষ্ঠিত নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় দাফন করা হয়।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;
