বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নারীকে শাকিব'র ধর্ষণ - মামলা! ফেসবুকে মিলি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নারীকে শাকিব'র  ধর্ষণ - মামলা! ফেসবুকে মিলি
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নারীকে শাকিব'র ধর্ষণ - মামলা! ফেসবুকে মিলি

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক ।।

শাকিব খান বিনোদনের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বলা হয়। পুরো দেশে ছড়িয়ে আছে তার কোটি ভক্ত। অথচ তার ব্যক্তিগত জীবনযাপন হতাশ করছে তার ভক্তদের। বিতর্ক আর শাকিব খান যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে নেটিজেনদের কাছে। শাকিব খানের দ্বিতীয় বিয়ে-সন্তানের সংবাদের রেশ কাটতে না কাটতেই তার বিরুদ্ধে সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শাকিবের বিরুদ্ধে সহপ্রযোজককে ধর্ষণের এই অভিযোগ তুলেছেন লেখিকা মিলি সুলতানা। শনিবার (১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

মিলি সুলতানা লিখেছেন, “অথর্ব খানের ‘সুপারহিরো’ সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। নায়িকা ছিলেন বুবলী। প্রযোজকের কাছে খান সাহেবের ফরমায়েশ ছিল, হোটেলে তার ঠিক পরের কামরা যেন বুবলীর জন্য দেয়া হয়। যাতে বুবলীর সঙ্গে তার লারেলাপ্পা মার্কা রোমাঞ্চ নির্বিঘ্নে কন্টিনিউ করতে পারে। হলোও তাই, সিনেমার শ্যুটিংয়ের সঙ্গে ধুমায়ে চলতে লাগলো তাদের হোটেল রোমাঞ্চ।”

প্রযোজক অ্যানি সাবমেরিন সম্পর্কে লিখেছেন, “২০১৮ সালে তার জন্য বিপদ হয়ে এলো এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রেলিয়ান নারী। জানা গেছে, শাকিবের একটি ছবির সহ-প্রযোজক ছিলেন সেই নারী। তার নাম অ্যানি সাবমেরিন। সেই রমণীকে দেখে মজে যান ঢালিউডের প্রেমকুমার। ভাবলেন, ফ্রিতে হাড়িপ্পা হাড়িপ্পা খেললে মন্দ কি? অ্যানি সাবমেরিন বিবাহিতা। তার স্বামী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। অ্যানিকে আমাদের দেশের মোশাররফ করিম-তাহসান-কনারা ভালো করে চেনেন হয়তোবা। তার সঙ্গে মোশাররফ করিমের ভাব ধরা ভ্যারাইটিজ সেলফি দেখে সেটাই মনে হলো।”

অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে শাকিব খানের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে লেখিকা মিলি সুলতানা লিখেছেন, “২০১৮ সালে অ্যানি মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দিলেন স্বঘোষিত কিং খানের উদ্দেশ্যে। তিনি কিং খানের অশ্লীল যৌনতার শিকার হয়েছেন। যার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ডাক্তারের কাগজপত্রেও সেই উল্লেখ ছিল। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে খান সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অ্যানি সাবমেরিন। পুলিশ নায়ককে আটক করতে যাওয়ার আগে খবর পৌঁছে যায় তার কানে। ফোন করেন জনৈক প্রভাবশালী ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারকে। সেই প্রভাবশালী ল’ইয়ার খান সাহেবের দোসর বনে যান, পুলিশের কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। পুলিশের গ্রেপ্তার থেকে বেঁচে যান কিং খান। অ্যানি সাবমেরিন যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সেই হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ছিলেন তার স্বামী। স্ত্রীর চারিত্রিক স্খলন দেখে ডিভোর্স দেন। কিং খানের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি গোপনে প্লেনের টিকিট কেটে তাকে প্লেনে বসিয়ে দেন। এভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে চম্পট দেন কিং খান।”

তিনি আরও লিখেছেন, “ধর্ষণের বিষয়ে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বলেছেন, ‘আমি কেন তাকে (অ্যানি) রেপ করতে যাব? বরং সে-ই আমাকে ড্রিংক করিয়ে বেসামাল করে দেয়। তারপর যা হয়েছে তা দু’জনের সম্মতিতেই হয়েছে। অ্যানি আমাকে প্রলুব্ধ করেছে। এমন অবস্থায় আমি কি তসবি পড়ব...?’ মজার বিষয় বুবলীও তখন অস্ট্রেলিয়া ছিলেন। কিন্তু বুবলী ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তার পিঠ-পিছে অ্যানি সাবমেরিনের সঙ্গে লীলাখেলায় মেতেছিলেন তার প্রেমকুমার। হায়রে এভাবেও কেউ ঠক খায়?”

এ বিষয়ে শাকিব খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

2018: Sydney rape scandal[edit]

On 1 October 2022, expatriate journalist Milli Sultana claimed that Bangladeshi-born Australian Annie Submarine, who was a co-producer of one of his films, was raped by Shakib while filming Super Hero in Sydney. Annie filed a police complaint against him. But because of Shakib's appointed immigration lawyer, the police could not take action against him. When Shakib was asked about this, he denied the allegation saying that Annie seduced him and what happened between them was consensual.[335]

-  Wikipedia

খালেদ / পোস্টকার্ড ;