মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ অপেশাদারিত্ব কাজ : ৭ মার্চের আলোচনা সভায় সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দ

মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ অপেশাদারিত্ব কাজ  : ৭ মার্চের আলোচনা সভায় সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দ
মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ অপেশাদারিত্ব কাজ : ৭ মার্চের আলোচনা সভায় সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দ

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব । মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল ১১ টায় সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে এই আলোচনার সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহ উদ্দীন খালেদের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল এর সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোকপাত করেন বক্তারা।

এসময় সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া সীতাকুণ্ডের উন্নয়ন, দূর্ণীতি ও সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকরা আলোচনা করেন। নাগরিক দূর্ভোগের বিষয়গুলো সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমেই একমাত্র সমাধানের পথ বলে মনে করেন সাংবাদিকরা।

আলোচনা সভায় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহ উদ্দীন খালেদ বলেন, ৭ মার্চের গুরত্ব অপরিসীম। ৭ মার্চের মাধ্যমেই বঙ্গব্ন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপণ করেন। এছাড়াও তিনি আলোচনার একপর্যায়ে বলেন, ইদানীং সাংবাদিকতার নৈতিকতা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে আমার নাম উল্ল্যেখ করে গত ১ মার্চ চট্টগ্রামের দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকা অনলাইনে একটি নিউজ প্রকাশ করে । নেয়া হয়নি কোন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আমার বক্তব্য । আশ্চর্যের বিষয় হলো যারা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ত্রুটি-বিচ্যুতি আড়াল করার জন্য মিথ্য তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ পোষ্ট দিয়েছেন তাদের বক্তব্যও দেওয়া হয়নি। তাহলে এটা সাংবাদিকতা বা সম্পাদকীয় নীতিমালার কোথায় আছে আমার জানা নেই । তাহলে কি সম্পাদক মহোদয়ের আড়ালে নিউজটা হলো ?

তিনি বলেন , আশাকরি দৈনিক সাঙ্গু পরিচালনা পরিষদ বিষয়টা নজরে আনবেন । একজন সাংবাদিক অন্য সাংবাদিকের সম্মানে আঘাত করা মানে নিজের সম্মানে আঘাত করা । তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা অন্যদিকে যাইনি, এতে গণমাধ্যমেরই সুনাম ক্ষুন্ন হবে ।

তিনি আরো বলেন, যারা পত্রিকায় মিথ্য তথ্য দিয়ে আমার কথা বলে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের কাছে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই নিউজ টি করেছেন, তারা অবশ্যই অপসাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সাংবাদিকতাকে তারা লুন্ঠিত করেছেন। গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চর্তুথস্থম্ব, তারা সেটিকে কলঙ্কিত করেছেন । কিছু মানসিক বিকারগ্রস্ত, উম্মাদ, শৃঙ্খলাবিরোধী এই পেশাকে কলঙ্কিত করেছে। যদিও বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য আমাদের হাতে আসায় ইতিমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।

সংগঠনের সহ- সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বক্তব্যের মধ্যে বলেন,সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব ইতিমধ্যে সীতাকুণ্ডের গণমানুষের হৃদয়ে আস্থা জাগিয়েছে। অল্প সময়ে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন, অনিয়ম দূনীর্তি সহ সম্যাসাগুলো সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেছে। সাধারণ মানুষের অনেক সম্যাসা সমাধাও করেছে। আশা করি সীতাকুণ্ডকে একটি পরিকল্পিত উপশহর হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করবে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। আমাদের মূল লক্ষ ছিলো বস্তুনিষ্ঠা সাংবাদিকতা যা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে ক্লাবের বিরুদ্ধে নানা সড়ষন্ত্র শুরু করেছে কিছু বিপদগামী ব্যক্তি তার সাথে ইন্ধন দিচ্ছে কুচক্রি মহল। ইনশাল্লাহ এসব অপপ্রচার করে লাভ হবেনা।

তিনি বলেন, সদ্য ভূমিষ্ঠ মাত্র তিন মাস বয়সের শিশুর ন্যয় একটি সচ্ছ সংগঠনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে, তারা নিজেরা ইতিমধ্যে বিতর্কৃত হয়েছে। তারা ক্লাব কে ব্যবহার করে নানা অপকর্মের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ক্লাবের সুনাম ক্ষুন্ন করে বহিরাগত সেন্ডিকেটের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। তবে সফল হতে পারেনি, এর আগেই সংগঠন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে।

এসময় ক্লাবের অর্থ সম্পাদক ফারহান সিদ্দিক বলেন, ৭ মার্চ সহ সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব সব জাতীয় দিবস পালনকরে যাচ্ছে। সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনগুলো জাতীয় দিবসগুলোর প্রতিসম্মান রাখা উচিত ।

তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, গত ১ মার্চ রাত ১১ টার সময় চট্রগ্রামের দৈনিক সাঙ্গুর পত্রিকার অনলাইনে আমার বক্তব্য বলে কিছু মিথ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই ধরণের কথা আমি কখনো বলিনি। তাছাড়া সাঙ্গুর কোন প্রতিনিধিও আমার থেকে বক্তব্য নেয়নি। তবে কেন এমন মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ হল এই বিষয়ে আমি সম্পাদ মহোদয়কে অবহিত করেছি। আশা করি উনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। আমার বিশ্বাস সম্পাদক মহোদয়ের অজ্ঞাতসারেই এমন অপেশাদারিত্ব কাজ হয়েছে। তাই সম্পাদক মহোদয়কে বলবো আরো সর্তক হতে অন্যথায় পত্রিকার সুনাম ক্ষুন্ন হতে থাকবে। সংবাদকর্মী হিসাবে এটি আমাদের জন্যও লজ্জাজনক। বিতাড়িত, শৃঙ্খলাভঙ্গকারী ও বিপদগামি যারা এমন মিথ্য তথ্য দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করেছেন সদ্য ভূমিষ্ঠ একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে। মিথ্যা মনগড়া ও আসল সত্য লুকানোর উদ্দেশ্যে যারা অপপ্রচার করছে, তারা নীতিনৈতিকতা থেকে যোযন-যোযন দূরে। এমন মিথ্য প্রপাগন্ডার বিরুদ্ধে আমি তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজয় টিভির প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি রেজাউল হোসেন পলাশ, দৈনিক তৃতীয় মাত্রার প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ মাহিন, আজকালের খবর প্রতিনিধি ইমাম হোসেন ইমন, বাংলা টিভির প্রতিনিধি মহিউদ্দীন, দৈনিক লাখোকন্ঠের প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা টাইমসের প্রতিনিধি শেখ নাদিম, দৈনিক নতুন দিন প্রতিনিধি আব্দুল মামুন প্রমুখ । 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;