সমস্যায় জর্জরিত সীতাকুণ্ডের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র!

সমস্যায় জর্জরিত সীতাকুণ্ডের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র!
সমস্যায় জর্জরিত সীতাকুণ্ডের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র!

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

চিকিৎসা সেবা জনগনের দৌড়গােড়ায় পৌছাঁতে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে সীতাকুন্ডে । মাতৃত্বকালীন, শিশু - কিশাের সেবা প্রদানে ডাক্তার, ভিজিটর, আয়াসহ ঔষধের রয়েছে সু-ব্যবস্থা। কিন্তু ক্রমাগত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ঘনিভূত সংকটের কবলে পড়ে স্বাস্থ্য সেবা মুখ থুবড়ে পড়ায় চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ ।

জানা যায়, উপজেলার সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুন্ড, কুমিরা, সােনাইছড়ি ও সলিমপুর ইউনিয়নের জনসাধারনের স্বাস্থ্য সেবায় স্থাপন করা হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র । প্রত্যেক কেন্দ্রেই রয়েছে প্রসুতি মা ও শিশু চিকিৎসা সেবায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কর্মকর্তা, ভিজিটর, আয়া, পিয়ন, দারােয়ানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা। কিন্তু সকল পদ-পদবী কাগজে কলমে বন্ধি থাকায় জনশূন্য কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে। এ পরিস্থিতিতে সেবা বঞ্চিত হয়ে রােগ বালায় নিয়ে হাসপাতালে বারান্দায় কাতরাচেছ বা সেবা না পেয়ে ফিরে যায় রোগীরা । যে কারণে ভিজিটর নির্ভর স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে মুখ ফিরিয়ে উপজেলা, জেলা ও প্রাইভেট হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে স্থানীয়রা।

সলিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাকিলা বলেন, এক সময় স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র মাধ্যম ছিল ইউনিয়র স্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রসুতির প্রসব ও সাধারন চিকিৎসায় ডাক্তার, নার্স, ওষুধ সহ পাওয়া যেত চিকিৎসার সকল সুযােগ- সুবিধা। বর্তমানে ডাক্তারের অনুপস্থিতির পাশাপাশী দীর্ঘস্থায়ী সংকটের কবলে পড়ে দেখা দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ঝিমিয়ে পড়েছে। ভিজিটরকে দেখা গেলেও চিকিৎসা ও ঔষুধ ছাড়া অফিস সময় পার করেন বলে জানান তারা।

একই এলাকার অন্য বাসিন্দা মনোয়ার বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশু-কিশোরীদের সমস্যা বেশি হচ্ছে। ডাক্তার না থাকলেও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা থাকলে মানুষ ন্যূনতম সেবাটুকু পেত।’

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাে. জিয়াউল কাদের বলেন, উপজেলা সদর ও ৯টি ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সেবায় ৭টি পদ পদবী রয়েছে। এসব পদের অধীনে একাধিক পদে লােকবল না থাকায় শূন্য হয়ে পড়ে ২৪টি পদ। যে কারনে স্বাস্থ্য সেবায় ঘাটতি তৈরী হয় বলে জানান তিনি ।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অফিসারের পদটি শূন্য থাকায় মাঠ পর্যায়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ে পরিকল্পনা গ্রহনের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরনসহ সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং, প্রসবের আগে পরে প্রসুতি চেকআপ, কমউিনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদানসহ নানাবিদ পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা কার্যক্রম দ্বিগুনহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড;