রাজধানীতে শুরু হলো রিহ্যাব মেলা, সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্য আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ফ্ল্যাট-প্লট

রাজধানীতে শুরু হলো রিহ্যাব মেলা, সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্য আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ফ্ল্যাট-প্লট
রাজধানীতে শুরু হলো রিহ্যাব মেলা, সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্য আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ফ্ল্যাট-প্লট

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

 

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে শুরু হল পাঁচ দিনব্যাপী রিহ্যাব আবাসন মেলা।  বুধবার ( ২১ ডিসেম্বর) মেলার উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

 

যারা ঢাকা ও এর আশপাশে একটু মাথা গোজার ঠাঁই খোঁজার জন্য ফ্ল্যাট বা প্লট কিনতে চান-তাদের জন্যই গত ২২ বছর ধরে আবাসন মেলার আয়োজন করে আসছে রিহ্যাব। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মেলায় অংশ নিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকে কিছু দূর এগোলেই বামপাশে রয়েছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের বৃহৎ প্যাভিলিয়ন। এর এক পাশে ক্রেতার জন্য রাজধানীর ভালো ভালো লোকেশনের ফ্ল্যাট নিয়ে এসেছে আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেড এবং আরেক পাশে রাজধানীর চারপাশের মনোরম লোকেশনের প্লট নিয়েছে এসেছে আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটির প্যাভিলিয়নে মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত-অর্থাৎ সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্য মেলায় নিয়ে এসেছে ফ্ল্যাট ও প্লট।

 

মেলায় আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেড আবাসিক ভবন, কমার্শিয়াল ভবন এবং কক্সবাজারে পাঁচ তারকা মানের হোটেল গ্রান্ড প্যাসিফিক-এই তিন ধরণের প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে আবাসিক প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- উত্তর গুলশান এলাকায় গ্রিন বেভারলি পার্ক, গুলশান এলাকায় গ্রিন ক্রাউন, উত্তর বনানী এলাকায় গ্রিন সেঞ্চুয়ারি, ধানমন্ডি এলাকায় গ্রিন ক্যাস্টালিয়া, এভারগ্রিন শামস, এভারগ্রিন মৌ, এভারগ্রিন বুলবুল, গ্রিন ধানমন্ডি। মিরপুর এলাকায় এলাকায় এভারগ্রিন মিজার স্কয়ার, বড় মগবাজার এলাকায় গ্রিন সাত মহল ও গ্রিন হাসনাবাদ, মোহাম্মদ গার্ডেনিয়া, মালিবাগ এলাকায় গ্রিন সালেহা নুর এবং চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় গ্রিন স্পেক্ট্রা। এসব প্রকল্পে সর্বনিম্ন ৯৬৬ স্কয়ারফিট থেকে শুরু করে সাড়ে ৬ হাজার স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।

 

মেলায় আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেড এবারের মেলায় কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স নিয়েছে রাজধানীর বেশ কিছু ভালো লোকশনে। কমার্শিয়াল প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে গুলশান-২ এলাকায় গ্রিন ডব্লিউ এইচ টাওয়ার, ধানমন্ডি এলাকায় আইকন গ্রিন, মতিঝিল এলাকায় গ্রিন হান্নান টাওয়ার, তোপখানা এলাকায় গ্রিন এ জেড টাওয়ার, উত্তরা এলাকায় গ্রিন রিফ্লেকশন ও গ্রিন রহমান এম্পোরিয়াম, তেজগাঁও এলাকায় গ্রিন লিংক, প্রগতি স্মরণী এলাকায় গ্রিন মেলরোস ও গ্রিন স্কাই টাচ এবং মহাখালী এলাকায় গ্রিন মহাখালী। এসব প্রকল্পে সর্বনিম্ন ৫০০ স্কয়ার ফুট থেকে ১৫ হাজার স্কয়ার ফুটের বাণিজ্যিক স্পেস রয়েছে।

এবারের মেলায় অংশ নেওয়ার লক্ষ্য ও সার্বিক বিষয়ে আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, ‘আমরা একেবারে শুরু থেকে প্রতিবছরই রিহ্যাব মেলায় অংশ নিয়ে থাকি আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৩০ বছরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবারের মেলায় অংশ নেবার আমাদের মূল লক্ষ হল-মেলায় আমরা যেসব প্রকল্প নিয়ে এসেছি সেগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরবো, আমাদের অফারগুলো শেয়ার করবো। আমরা কি ধরণের প্রকল্প তৈরি করি বা বিল্ডিং বানায় এবং কোন কোন লোকেশনে তৈরি করি সে বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরবো। এর পাশাপাশি আমাদের প্রকল্প কোন ক্রেতা ফ্ল্যাট কিনলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে কি ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেব-সেগুলোও ক্রেতার সামনে আমরা তুলে ধরবো এবারের মেলার মাধ্যমে। এর বাইরে এবারের মেলায় বিশেষ অফার থাকবে। যারা বুকিং দেবেন তাদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে।

 

তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে-এখন ড্যাপ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ক্রেতাদেরও মনেও এ ব্যাপারে নানা প্রশ্ন রয়েছে। আমরা জানি ড্যাপের যে নীতিমালা করা হয়েছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। একটা গেজেট হয়েছে। ক্রেতাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে ক্রেতারা কিন্তু এখনকার দরে ফ্ল্যাট কিনতে পারবে না, দাম বেড়ে যাবে। তবে এবারের মেলায় ক্রেতাদের জন্য অনেক সুযোগ থাকছে। এবারের মেলায় ক্রেতারা আগের দামে এবং আগের নিয়মেই ফ্ল্যাট কিনতে পারবে, যা ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে পারবেন না। সুতরাং আমরা মনে করি ক্রেতাদের এখনই সবচেয়ে ভালো সময় বিনিয়োগের। এবারের মেলায় আমরা এ বিষয়গুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরবো।

তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে মোট ৩৫টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু আছে নির্মাণাধীন, কিছু সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এর বাইরে আমাদের আপকামিং কিছু প্রকল্প রয়েছে। যেটা আমরা আগামী বছরে নিয়ে আসবো। এবারের মেলায় এসব বিষয়েও আলোচনা করবো ক্রেতাদের সঙ্গে। আমাদের প্রকল্পে ৬ হাজার টাকা স্কয়ার ফুট থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত-সব শ্রেণীর মানুষের জন্য আমরা প্রকল্প নিয়ে এসেছি।

আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড
আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এবারের মেলায় বেশ সুবিধাজনক এলাকায় এবং ক্রেতার সামর্থ্যের মধ্যে প্রকল্প নিয়ে এসেছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের পাশে গ্রিন মডেল টাউন, উত্তরার সন্নিকটে আশুলিয়া মডেল টাউন, উত্তরা থার্ড ফেইজের সঙ্গে উত্তরা ভিউ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে, হেমায়েতপুরে আমিন মোহাম্মদ টাউন।

আমিন মোহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ারিং এসোসিয়েটস লিমিটেডের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একেবারে গা ঘেঁষে আমিন মোহাম্মদ সিটি, রামপুরা বনশ্রীর পাশে গ্রিন বনশ্রী এবং সাভার ইপিজেড ও বিকেএসপির পাশে আলোকিত বাংলাদেশ।

এছাড়া আমিন মোহাম্মদ রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- জিএমটি ডালিয়া (হ্যান্ডওভার প্রকল্প), জিএমটি হেরিটেজ, জিএমটি রোজ, জিএমটি ফ্লোরা, জিএমটি এস্টার (প্রজেক্ট অনগোয়িং)। আরও আছে জিএমটি ল্যাভেন্ডার , জিএমটি লেক লোটাস (আপকামিং প্রজেক্ট)।

এসব প্রকল্পে সর্বনিম্ন ১০ লাখ, ১৫ লাখ, ২০ লাখ এবং ৩৫ লাখ কাঠার প্লট রয়েছে।

আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, এবারের রিহ্যাব মেলায় আমাদের মূল ফোকাস থাকবে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কাছে ম্যাসেজ পৌঁছে দেওয়া। আমরা ক্রেতাদের জানাতে চায়, মহামারি করোনা চলাকালীন সময়ের পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতির মধ্যে আকাশ-পাতার পার্থক্য। করোনা কালীন সময় যেমন বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন যে, টাকা বিনিয়োগ করে প্লট ঠিকমতো বুঝে পাওয়া যাবে কিনা, বা টাকাটা বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ হব কিনা। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই। এখন কোনও ক্রেতা প্লট কিনতে চাইলে তার বিনিয়োগটা যেমন কোনও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে না, তেমনি প্লট বুঝে পেতেও কোনও সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্প নিয়ে কোনও ক্রেতাকে দুশ্চিন্তা করা লাগবে না। কারণ আমাদের অনেক প্রকল্প রয়েছে পুরো টাকা পরিশোধ করলে এখনই প্লট বুঝিয়ে দেবার মতো। আবার অনেক প্লট রয়েছে প্রস্তুত করে দিতে হয়তো বছর খানেক সময় লাগবে। অর্থাৎ যে ক্রেতা যে ধরণের প্লট নিতে চাইবে আমরা সেগুলো দেবার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের যেসব প্রকল্প রয়েছে সেগুলোতে মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ বিত্ত-সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্য প্লট রয়েছে। একেবারে ১০ লাখ টাকা কাঠা থেকে শুরু করে ৭০ লাখ টাকা কাঠারও প্লট রয়েছে। একবারে পুরো টাকা শোধ করে যেমন প্লট কেনা যাবে, তেমনি কিস্তিতেও প্লট কেনার সুযোগ রয়েছে।

এবারের মেলায় প্রত্যাশা কি, জানতে চাইলে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবারের মেলা নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ, করোনার ধাক্কায় গত দুটি বছর কারোরই ভালো কাটেনি। সাধারণ মানুষও বিনিয়োগ করেছেন কম। এবার যেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তাই এ শিল্পের সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ বাড়বে বলে আমাদের প্রত্যাশা। সে জন্য এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম যেমন বেশি ঘটবে, তেমনি প্লট বিক্রিও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছি। তার কিছুটা লক্ষণ মেলার প্রথম দিনই পাচ্ছি। কারণ মেলার উদ্বোধনের পর বিকালে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য গেট খুলে দেওয়া হয়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই মেলায় ক্রেতার ব্যাপক সমাগম দেখা যায়। যা এর আগের মেলাগুলোতে খুব একটা দেখা যায়নি। সুতরাং প্রথম দিনের পর বাকি চার দিনও মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ঢল নামবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;