আয়াতের লাশের খন্ডাংশ পাওয়া যায়নি কোথাও

আয়াতের লাশের খন্ডাংশ পাওয়া যায়নি কোথাও
আয়াতের লাশের খন্ডাংশ পাওয়া যায়নি কোথাও

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

শিশু আয়াতের লাশের খন্ডিত অংশের সন্ধানে দিনভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও লাশের কোনো অংশ মেলেনি। 

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আবীরকে নিয়ে রোববার আকমল রোড পকেট বাজারে তার বাসার আশপাশের বিভিন্ন স্থানে ও আউটার রিং রোডের সমুদ্র এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। সকালে আকমল আলী রোডের পকেট বাজার এলাকায় তার মায়ের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে খাটের নিচ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাটারটি জব্দ করা হয়েছে।

এদিনের অভিযানে আবীরের বাসা থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ দে। তিনি বলেন, সেই ডায়েরিতে আবীরের ‘বড় লোক হওয়ার ইচ্ছের’ কথা লেখা আছে। ডায়েরিতে লেখা আছে- ‘আমার দরকার টাকা পয়সার, স্বপ্ন আমার বড় লোক হওয়ার।’

প্রাথমিকভাবে ডায়েরিতে লেখাগুলো আবীরের হাতের লেখা মনে হচ্ছে। কিন্তু সেটা নিশ্চিত হতে এক্সপার্ট অপিনিয়ন প্রয়োজন।

বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানার নেতেৃত্বে সংস্থাটির কয়েকজন পরিদর্শক ‘বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও মুখে মাস্ক লাগিয়ে আবীরকে’ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে লাশের খন্ডিত অংশের খোঁজ করেন।

পিবিআই পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, আবীর যেসব স্থান দিয়ে সমুদ্র এলাকায় গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পকেট বাজার এলাকায় যে স্থানে শিশু আয়াতের পোশাক ফেলা হয়েছে সেসব স্থানে পুনরায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এছাড়াও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায়ও খন্ডিত অংশের প্যাকেটগুলো খুঁজতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। সন্ধান চেয়ে পোস্টার ও প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। তার দাদা পিবিআইয়ের কাছে আবেদন করেন নাতনির সন্ধান চেয়ে। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।

শুক্রবার পিবিআই জানিয়েছিল, ‘মুক্তিপণের’ জন্যই আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের ভাড়াটিয়ার ১৯ বছরের ছেলে আবীর আলী। শিশুটিকে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সে। ওই দিন তাকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি, আয়াতের জুতা উদ্ধার করে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;