চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর 'রানী রাসমনির ঘাট' , প্রকৃতি প্রেমীর কাছে আকর্ষণীয়

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর 'রানী রাসমনির ঘাট' , প্রকৃতি প্রেমীর কাছে আকর্ষণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

চট্রগ্রামের পাহাড়তলীর রানী রাসমনীর ঘাট। স্থানীয় লোকের কাছে এটি সাগর পাড় বলেই পরিচিত। স্থানীয় ও বাহির থেকে ঘুরতে আসা বেশীর ভাগ পর্যটকদের মন কেড়ে নেয় এই সাগর পাড়, তাই প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষের ভীড় জমে উঠে এখানে। সাগরের পাড়ে পানিতে নেমে দর্শনার্থী মেতে উঠে আনন্দ-উল্লাসে। প্রেমিক-প্রেমিকেরা সাগরের কাছাকাছি পায়ের পাতা পানিতে ভিজিয়ে বিচে হেঁটে হেঁটে ভালোবাসার কাব্য রচনায় ব্যস্ত থাকে। অনেকে এখানে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আসে কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য।

তাছাড়া সাগর পাড়ে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখার আনন্দ উপভোগ করতে বিকেল বেলা এসে রাত অব্দি সময় কাটাতে দেখা যায় অনেককে। এখানে এসে মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় সেলফি তুলতে ভুল করে না কেউ।

সাগর পাড়ে ঘুরতে আসা এক স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী জানায়, প্রায়ই এখানে এসে সূর্যাস্ত দেখতে ইচ্ছে করে। পরিবারের সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রায়ই এখানে আসি। তাছাড়া চট্রগ্রাম এর বাহিরের কোন আত্মীয়-স্বজন আসলে আমরা তাদেরকে এখানে ঘুরতে নিয়ে আসি।

ঘুরতে আসা সাইদুল জানায়, এখানের সৌন্দর্যটা অনেক চমৎকার। প্রিয় জনের হাত ধরে এই সাগরপাড়ে সারাদিন হাঁটতে ইচ্ছে করে। এখানে এই মনমুগ্ধকর পরিবেশে ভালবাসা যেন বেড়ে যায় হাজার গুন। এখানে সাগরের পাড় ধরে প্রিয়জনের হাত ধরে হেটে যেতে ইচ্ছে করে অনেকদুর পর্যন্ত।

এখানে দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিতে রয়েছে ঘোড়া। ২০ থেকে ৩০ টাকার বিনিময়ে ঘোড়ায় চড়ে ইচ্ছে মত ছবি তুলতে পারবেন। আর ঘোড়ার মালিককে একটু বেশী টাকা দিলেই ঘোড়ায় চড়িয়ে আপনাকে সাগর পাড়ের অনেকদুর পর্যন্ত ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে।

সাগর মানেই জোয়ারভাটার খেলা। তবে জোয়ার বেশ ঝুকিপূর্ণ। অনেকসময় হঠাৎ করেই জোয়ার নেমে পরে। অনেক পর্যটকই তা বুঝতে পারেন না। কেউ কেউ সমুদ্রের কাছাকাছি থাকায় জোয়ারের পানিতে বিপদে পড়ে যান। এ জন্য সাগরপাড়ে নামার আগে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নিলে ভাল হয়।

প্রকৃতি প্রেমী মানুষের কাছে এই সাগরপাড় আর্কষণীয় জায়গা। শহরের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দুর করতে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন চট্রগ্রামের এই সাগরপাড়ে।