জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে রাজনীতির দোকান খোলা যাবে না - ওবায়দুল কাদের

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে রাজনীতির দোকান খোলা যাবে না - ওবায়দুল কাদের
জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে রাজনীতির দোকান খোলা যাবে না - ওবায়দুল কাদের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি যত্রতত্র ব্যবহার করে রাজনীতির দোকান খোলা যাবে না বলে হুশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে, তার নাম ভাঙিয়ে রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দিয়ে দোকান খুলেছে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম-ছবি ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক দোকান খোলা যাবে না।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইতিহাসের বিভিন্ন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, যারা বেঈমানি করে, যারা ঘাতক, তাদের কখনোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না। সবসময় অপমৃত্যু ঘটে।

পচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিয়ে রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা রাজনীতি করে, এরা কারা? পচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিয়ে রাজনীতি করে, এরা কারা। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি ও পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে, তারা কারা? ‘এরা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরাই ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত’-যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান। এদের হাত মানুষের রক্তে রঞ্জিত। প্রচলিত আদালতে এদের বিচার হয়েছে। ইতিহাসের আদালতে বিচার হয়েছে। জনতার আদালতে তাদের বিচার হয়েছে।

আগস্ট মাস এলেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন রাজনীতিতে খেই হারিয়ে আবোল-তাবোল বকছে। তারা একজনকে জাতীয়তাবাদী জাতির পিতা বানানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।

আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান। সভাপতিত্ব করেন তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ।