দেশের সকল যুদ্ধাপরাধীদের বাড়ির সামনে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখার ঘোষণা

দেশের সকল যুদ্ধাপরাধীদের বাড়ির সামনে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখার ঘোষণা
দেশের সকল যুদ্ধাপরাধীদের বাড়ির সামনে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখার ঘোষণা

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

দেশের প্রত্যেক যুদ্ধাপরাধীর বাড়ির সামনে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা। গতকাল বুধবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কমান্ডাররা গণি বেকারি মোড়ে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন।

যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সব সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সব যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করা, মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্যাতনের জন্য রাজাকার-আলবদর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা সব ‘টর্চার ক্যাম্পকে’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা, হুম্মাম কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর ও জেলার কমিটির আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এসময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজাকার বাড়ি লেখা যদি আবার ঢেকে দেওয়া হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কঠোর কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে। তারা অবিলম্বে ৫ দফা দাািব বাস্তবায়নের দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কাজী নুরুল আবছার, এম এ ওয়াদুদ, নুরুল আবছার, হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ রইজ উদ্দিন, কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, মাহাবুবুল ইসলাম প্রিন্স, আল মামুন, মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, মেহেদী মাহামুদ রেজা, শের সম্রাট খান, সাহেদ মুরাদ সাকু, ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, ড. ওমর ফারুক রাসেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। কর্মসূচি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ কামরুল হুদা পাভেল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

খালেদ / পোস্টকার্ড;