প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন
প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ নতুন সময়ের নতুন দৈনিক হিসেবে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে আগামী ৮ জানুয়ারি ২০২৩। এ উপলক্ষে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হোটেল র‌্যাডিসনের উৎসব হলে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়।

পত্রিকাটির প্রকাশনাকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পাঠ করেন বাচিক শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নিরাপদ ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করে। গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমের মালিক, সংবাদকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা একান্ত প্রয়োজন।’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও মানসম্পন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে জনগণের সঠিক তথ্যপ্রাপ্তিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি। বক্তব্য দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম এবং পত্রিকাটির প্রকাশক ও রংধনু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আহমেদ অপু।

তারা বলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ হবে নতুন সময়ের ভিন্নধারার দৈনিক। এটি হবে প্রিন্ট, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমের সমন্বয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া দৈনিক।

কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এতে অংশ নেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্টজন।

এর মধ্যে ছিলেন—তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও শওকত মাহমুদ, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, বিএনপির মিডিয়া সেলপ্রধান জহির উদ্দিন স্বপন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।

এ ছাড়া ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক, সাংবাদিক নেতা বিএফইউজে সভাপতি এম. আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রুকন এবং ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।

আরও ছিলেন—মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

চিত্রতারকা ফেরদৌস ও পূর্ণিমা'র সঞ্চালনায় ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ নিয়ে ১২ মিনিটের তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়। মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন একঝাঁক শিল্পী।

মুস্তাফিজ শফির লেখা এবং বেলাল খানের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘আমরা বলতে এসেছি বলব, লিখতে এসেছি লিখব’ থিম সং গাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান। নৈশভোজের মাধ্যমে শেষ হয় সুধী সমাবেশ  ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;