বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার আদিবাড়ি জন্মবার্ষিকীতেই উন্মুক্ত হচ্ছে

বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার আদিবাড়ি জন্মবার্ষিকীতেই উন্মুক্ত হচ্ছে
বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার আদিবাড়ি জন্মবার্ষিকীতেই উন্মুক্ত হচ্ছে

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় পূর্বপুরুষের পৈত্রিক বাড়িটি তার আদি চেহারা ফিরে পাচ্ছে। এ জন্য কাজ করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। আশা করা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতেই  উন্মুক্ত করা হবে টুঙ্গিপাড়ার আদি বাড়িটি।

স্থাপত্যশৈলীর ও ইতিহাসের গুরুত্ব বিচারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর কর্তৃক সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রায় তিনশত বছর আগে (বৃটিশ আমলে) নির্মাণ করেছিলেন জাতির পিতার পিতৃপুরুষ জমিদার শেখ কুদরতউল্লাহ। ভবনটি উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এবং পূর্ব দূয়ারী।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হান্নান মিয়া আগামীনিউজ ডটকমকে জানান, ‘'বঙ্গবন্ধুর এই পৈত্রিক বাড়িটি আজ জাতীয় ঐতিহ্য। এটি সংরক্ষণ করা শুধু আমাদের একার দায়িত্ব নয়, জাতীয় দায়িত্ব। আমরা সতর্কতার সঙ্গে বাড়িটির আদি চেহারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। যাতে কোথাও কোনো ভুল ত্রুটি না থাকে। এটি এমন একটি কাজ যেটি সুন্দরভাবে শেষ করতে না পারলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।’

কাজ শেষ করা প্রসঙ্গে মহাপরিচালক জানান, ‘আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ভেবে চিন্তে নিতে হচ্ছে। কবে কাজ শেষ করতে পারবো তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’ তবে তিনি আশা করেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতেই সম্মুখভাগ হলেও উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।’

সূত্র আরো জানায়, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের স্থপতিরা বাড়িটির পুরনো ছবি ও বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নকশা করেছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফরের স্থপতিরা। তারা এখন দিনরাত কাজ করছেন। যাতে করে কোনো কাজেই খুত না থাকে। এর আগে ২০১১ সালে বাড়িটি সংস্কার করা হয়। তখন বাড়ির পুরনো ভবনের কারুকাজে কিছু পরিবর্তন আসে। এখন এসব কারুকাজ পরিবর্তন করে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

প্রায় তিন শত বছর আগে নির্মিত বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল চুন, সুরকি, বালু ও ইট দিয়ে। ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট আড়ে বাড়িটি এবার তৈরি করা হচ্ছে চুন, সুরকি, বালু, ইট, চিটাগুড় ও চিনি দিয়ে। এবার অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে চিটাগুড় ও চিনি।

দুই রুম বিশিষ্ট বাড়িটির সামনের উঠানে কমপক্ষে এক থেকে দেড় হাজার লোক বসতে পারবেন- এমন ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে।

উল্লেখ্য, গত ২৫শে নভেম্বর থেকে বাড়িটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।