বাচ্চা হাতি কাঁদছিল মাকে বাঁচাতে,বার বার ছুঁয়ে দেখছিল

বাচ্চা হাতি কাঁদছিল মাকে বাঁচাতে,বার বার ছুঁয়ে দেখছিল
বাচ্চা হাতির কান্না মাকে বাঁচাতে,বার বার ছুঁয়ে দেখছিল

কক্সবাজার প্রতিনিধি ।।

মরে গিয়েছে মা । মা হারানোর সেই কষ্ট কি ভুলে থাকা যায়? তাইতো মৃত মায়ের পাশে বাচ্চা হাতি বার বার শুয়ে পড়ছিল। উঠে আবার মাকে স্পর্শ করছিল। তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল পানি। বার বার চিৎকার করে কান্না করছিল। অবুঝ হাতির বাচ্চাটির এ দৃশ্য উপস্থিত সবার চোখ পানিতে ঝাপসা করে দিচ্ছিল।

ঘটনাটি কক্সবাজারের ঈদগাঁওর গহীন অরণ্যের। সেখানে সেই হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ফুলছড়ি রেঞ্জের রাজঘাট বিটের জঙ্গল খুটাখালী মৌজার কাইস্যার ঘোনা নামক এলাকায় শনিবার বিকালে এ মৃত হাতির সন্ধান পায় বন বিভাগ। খবর পেয়ে উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, নিয়মিত টহল দল ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে যান।

ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া জানান, রাজঘাট বিট কর্মকর্তার দেয়া খবরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বার্ধক্যজনিত কারণে মা-হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তৌহিদুল ইসলাম, সদরের বিশেষ টহলের রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক, ডুলহাজারা সাফারি পার্কের চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন।

স্থানীয়রা জানায়, মা-হাতিটি সকালেও দিকবিদিক ছুটাছুটি করছিল। একসময় হাতিটি শুয়ে পড়ে। প্লটে কাজ করা এক শ্রমিক মৃত হাতিটি শুয়ে আছে মনে করে পালিয়ে দূরে অবস্থান করেন। দীর্ঘক্ষণ নড়াচড়া না দেখে স্থানীয় রাজঘাট বিট কর্মকর্তাকে জানান তিনি। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত বলে নিশ্চিত করেন।

এলাকাবাসী আরও জানান, মা হাতিটির দেহে বেশ কয়েকটি গুলির চিহ্নের মত দাগ রয়েছে। তাদের ধারণা কে বা কারা কয়েকদিন আগে মা-হাতিটিকে হয়তো গুলি করেছিল। এরপর চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মৃত হাতিটি ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানতে পারব।

সুত্র.ইত্তেফাক