বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে তারেকের বৈঠক, নির্বাচনে যেতে সরকারকে শর্ত !

বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে তারেকের বৈঠক, নির্বাচনে যেতে সরকারকে শর্ত !
বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে তারেকের বৈঠক, নির্বাচনে যেতে সরকারকে শর্ত !

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

তারেক রহমানের নির্বাচন ভাবনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। অন্তত তিনজন বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে তারেক জিয়ার বৈঠক হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই বৈঠকে তারেক জিয়া বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এছাড়াও জানা গেছে, মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তারেক।

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন দূতাবাসের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের সাথে একান্ত বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে আমীর খসরু জানতে পারেন- তারেক জিয়া নির্বাচন করতে আগ্রহী। বিস্মিত হয়ে তিনি জানতে চান, এই তথ্যের সত্যতা কি? তখন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, লন্ডনে মার্কিন একজন কূটনীতিকের সাথে তারেক জিয়ার দু’দফা বৈঠক হয়েছে। সে বৈঠকে তারেক জিয়া বলেছেন যে, সরকার যদি তার সাথে একটি সমঝোতা করে, তাহলে তিনি নির্বাচনে যেতে পারেন।

আর একটি বিশ্বস্ত সূত্র বাংলানিউজ ব্যাংককে জানিয়েছে, সরকারের কাছে তারেকের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যদি তাকে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়, তাহলে তিনি বিএনপিকে নির্বাচনমূখী করবেন। কিন্তু সরকার বলছে, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা তাদের বিষয়। তবে শেষ পর্যন্ত তারেকের প্রস্তাব সরকার বা অন্য কেউ গ্রহণ করবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এদিকে বিএনপির একজন নেতা বলছেন, তারেকে জিয়া ভালোমতোই জানেন- নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা সম্ভব না। তিনি এটিও জানেন, দলের যে সাংগঠনিক অবস্থা তাতে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এই বাস্তবতায় দলকে আন্দোলনে ঠেলে দিয়ে সরকারের সাথে পর্দার আড়ালে দর কষাকষি করাটাই তারেক রহমানের কৌশল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন মনোনয়ন বাণিজ্য করে তারেক জিয়া অন্তত সাড়ে তিনশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। এবং এই টাকাই তার রাজকীয় জীবনযাপনের প্রধান উৎস। বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, তাবিদ আউয়াল, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে এই টাকার লেনদেন হয়েছিল, যে টাকাগুলো সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব হয়ে লন্ডনে গিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বসবাসরত তারেক জিয়া মূলত চাঁদাবাজি, পদ বাণিজ্য এবং কমিটি বাণিজ্য করেই বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক। সেখানে তিনি রাজকীয় জীবনযাপন করছেন। আগামী নির্বাচন তার টাকা উপার্জনের একটি বড় অস্ত্র। মূলত মনোনয়ন বাণিজ্য করার জন্যেই শেষমেশ নির্বাচনে যাবে তারেক রহমান। - বাংলানিউজ ব্যাংক।

খালেদ / পোস্টকার্ড;