বিরোধীদলের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল :সংবাদ সম্মেলনে কাদের

বিরোধীদলের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল :সংবাদ সম্মেলনে কাদের
বিরোধীদলের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল :সংবাদ সম্মেলনে কাদের

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

এদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবি না। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে চাই। এ জন্য বিরোধী দলের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। তারা কোনও সভা-সমিতি করতে চাইলে আমরা তাদের সে সুযোগ দিতে চাই।
আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন শেষে শনিবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের অফিসে আক্রমণ হয়েছিল। আমরা আক্রান্ত হয়ে পাল্টা আক্রমণ করিনি। তবে জনগণের জানমালের স্বার্থে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু আমরা করেছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছেন নেত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের কাছে তিনি অঙ্গীকার করেছেন, প্রত্যেক পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করবো। এগুলো আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, আমাদের মূল ফোকাস হলো মুজিববর্ষের বিশাল প্রোগ্রাম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা। এটা আমাদের একটা বিরাট দায়িত্ব। এছাড়া ভিশন-২০২১ ও ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নও আমাদের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে।
আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সুশৃঙ্খল ও ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এখনও অনেক কাজ বাকি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। আমরা গণতান্ত্রিক দল। সাধারণ সম্পাদক পদে আসার মতো যোগ্যতা আমার নেই। আমি অসুস্থতা থেকে আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। মমতাময়ী মায়ের মতো তিনি (শেখ হাসিনা) আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কলিগরাও অনেক কষ্ট করেছেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারের সম্মেলন ঐতিহাসিক। নির্ঝঞ্ঝাট সম্মেলন। দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন কর্মীরা। আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কাজ করেছে। সাংবাদিকরাও দিন-রাত পারিশ্রম করেছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের নাম তিনবার করে নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছে। প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় আমাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত করার জন্য শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শেখ রেহানাকেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।