মেট্রোরেল বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে ‘অহংকারের পালক’: প্রধানমন্ত্রী

মেট্রোরেল বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে ‘অহংকারের পালক’: প্রধানমন্ত্রী
মেট্রোরেল বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে ‘অহংকারের পালক’: প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা ।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলকে বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে ‘অহংকারের পালক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন । তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। আজকে আমরা আরেকটি নতুন অহংকারের পালক বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে সংযোজিত করলাম। এটা হচ্ছে এমআরটি লাইন সিক্স।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের সি ব্লকের মাঠে মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন হলে অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। এই আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে নতুন ১২ হাজার গ্রাজুয়েট প্রকৌশলী ও মাঠ প্রকৌশলী কাজ পাবে। আমরা নিজেরাই স্মার্ট জনগোষ্ঠী তৈরি করবো, তারাই মেট্রো পরিচালনা করবে।

অনেক টাকা খরচ করে মেট্রো করা হয়েছে জানিয়ে, এটার মান ঠিক রাখা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ব্যবহারকারীদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়ে যত্ন নিয়ে ব্যবহার করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যানজট বেড়েছে কেন? মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। গাড়ি ব্যবহারকারী বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের অগ্রযাত্রা বৃদ্ধি পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, একটু আগেই মেট্রোরেলের উদ্বোধন করছি। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন জনগণ। এজন্য সবাইকে শুভেচ্ছা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যেন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ এগিয়ে যায়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়, দেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি আসে।

মেট্রোরেল শুরুর সময়ে হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার ঘটনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ওই ঘটনার পর কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিলো। হলি আর্টিজানে জাপানের সাতজন সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করার কারণে আবার মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়। সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেট্রোরেলে নামফলক তাদের নামে রাখবো। এছাড়া স্মৃতিস্মারক করেছি যাতে তাদের নাম থাকে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী-সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ও জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নবী, ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান প্রমুখ।

খালেদ / পোস্টকার্ড;