মিরসরাইয়ে নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, পিতা গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, পিতা গ্রেপ্তার
মিরসরাইয়ে নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, পিতা গ্রেপ্তার

মিরসরাই প্রতিনিধি ।।

নিজ কন্যা সন্তানকে জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে পিতাকে আটক করেছে মিরসরাইয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তির নাম নুর উদ্দিন মিঠু।

রবিবার রাতে উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় (মস্তাননগর রেল ষ্টেশন) এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নুর উদ্দিন মিঠুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে মেয়ে বাদি হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় ধর্ষনের একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, রবিবার বিকেলে ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে যান তার মা। রাতে বাড়িতে মেয়ে একা থাকায় তাকে জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেন বাবা নুর উদ্দিন মিঠু। তিনি পেশায় একজন কৃষক হলেও নিয়মিত মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মিঠু বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই মেয়েটি স্থানীয় মস্তাননগর মাদরাসা ও এতিমখানায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ালেখা করে বলে জানা গেছে। বাবা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

এদিকে সোমবার বিকেলে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবুল হক ও আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল হক। ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে তাঁরা সমাধান করতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) লাবিব আবদুল্লাহ ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য মজিবুল হক জানান, সোমবার বিকেলে ওই এলাকার সর্দার বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। এরপর আমি স্থানীয় গন্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সাথে কথা বললে সে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। ২ ভাই একবোনের মধ্যে মেয়েটি বড়। রবিবার গভীর রাতে মেয়েটির মা বাড়ীতে না থাকায় মেয়েকে জুসের মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে এ কাজ করেছে তার পিতা। নুর উদ্দিন মিঠু নিয়মিত মদ ও গাঁজা সেবন করেন। তিনি একজন মাদকাসক্ত। ঘটনা সমাধান করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, মেয়ের বক্তব্য শুনতে ওই বাড়িতে গিয়েছি, ঘটনা সমাধান করার বিষয়টি সত্য নয়।

জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে তাঁর পিতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মেয়েকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলার আসামী নুর উদ্দিন মিঠুকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।