মহানবী (সা:)’র ছবি দেখানোয় প্রফেসর বরখাস্ত

মহানবী (সা:)’র ছবি দেখানোয় প্রফেসর বরখাস্ত
মহানবী (সা:)’র ছবি দেখানোয় প্রফেসর বরখাস্ত

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

চতুর্দশ শতকের শিল্পকলা পড়াতে গিয়ে একটি শিল্পকর্মে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ছবি দেখা যাওয়ায় এর প্রতিবাদ জানালে মিনেসোটার সেন্ট পলে অবস্থিত হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্লাসের একজন মুসলিম ছাত্র এই ছবি দেখানোর প্রতিবাদ জানালে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির প্রশাসন পরে অভিযোগ করে উক্ত গ্লোবাল আর্টের প্রফেসর ড. এরিকা লোপেজ প্র্যাটার প্রকৃতপক্ষে ইসলামোফোবিক বা ইসলাম বিদ্বেষী।

এসোসিয়েটেড প্রেস এই খবরটি দিয়ে বুধবার জানাচ্ছে, গত অক্টোবর মাসে ক্লাসরুমে এই ঘটনাটি ঘটার আগে ড. এরিকা লোপেজ জানতেন ইসলাম ধর্মমতে মহানবী (সাঃ) এর ছবি যে কোনো ফর্মেই হোক প্রদর্শন নিষিদ্ধ। এবং আঁকাও। এই ঘটনার পরপরই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তাকে বরখাস্ত করাকে চ্যালেঞ্জ করে হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে এ সপ্তাহে মামলা দায়ের করেন প্রফেসর এরিকা লোপেজ। তিনি তার মামলার আর্জিতে বলেন, হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটি তাকে ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় তার মানহানি ঘটেছে, সেই সাথে তার প্রফেশনাল ও ব্যক্তি সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া ইউনিভার্সিটি প্রশাসন তাকে ইসলামোফোবিক বলেও দোষারোপ করেছে। ড. এরিকার এটর্নিগণ বলেন, এইসব অভিযোগ যখন গণমাধ্যমে আসবে তখন এই স্বনামধন্য অধ্যাপকের সারাজীবনের ক্যারিয়ারে কালিমা লেপিত হবে।

ড. এরিকা লোপেজের মামলায় বলা হয়েছে কোর্স সিলেবাসে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে গ্লোবাল আর্ট ক্লাসে তিনি লেকচারের সাথে ইমেজও দেখাতে পারবেন। যেহেতু এটা ইসলামিক আর্ট নিয়ে পড়ানো ক্লাস, তাই ইসলামিক আর্টের গৌরবময় ঐতিহ্য তুলে ধরতে গিয়ে উক্ত পেইন্টিংটি দেখান। তবে উক্ত পেইন্টিং দেখানোর আগে ক্লাসকে জানিয়েছিলেন ছবিতে কার ইমেজ আছে।

হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট জানান, ফল সিজনে ড. এরিকার চাকরির চুক্তি নবায়ন করা হবে না।

এদিকে কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স জানায় প্রফেসর এরিকা লোপেজ প্র্যাটারের আচরণ ইসলামোফোবিক। তিনি জেনে বুঝেই মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাত দিয়েছেন। হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির মুসলিম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আরাম ওয়াদেতাল্লা বলেন, ইসলামোফোবিক আচরণ আমাদের আঘাত করে।

অপরপক্ষে ড. এরিকা লোপেজের সমর্থক শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ র‌্যালি করেছে।

এসোসিয়েটেড প্রেস জানাচ্ছে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার মুখে হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেন, উচ্চশিক্ষা হচ্ছে জ্ঞানের মধ্য দিয়ে বিকশিত হওয়া। আমাদের যেমন জ্ঞানকে শেয়ার করতে হবে, তেমনই পরমত সহিষ্ণুতারও চর্চা করতে হবে। তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে দুটি কম্যুনিটি মিটিং আহবান করেছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;