সীতাকুণ্ডে কিশোর বলাৎকার, মাদ্রাসা পরিচালক বহিস্কার

সীতাকুণ্ডে কিশোর বলাৎকার, মাদ্রাসা পরিচালক বহিস্কার
সীতাকুণ্ডে কিশোর বলাৎকার, মাদ্রাসা পরিচালক বহিস্কার

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

কিশোর বলাৎকারের অভিযোগে সীতাকুণ্ডে এক নূরানী মাদ্রাসার পরিচালককে বহিস্কার করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ওই মাদ্রাসা পরিচালকের নাম সিরাজউদ্দৌলা শামীম। তিনি মুরাদপুর ইউনিয়নের গোপ্তাখালী জামে মসজিদের খতিবও। একই অভিযোগে সেখান থেকেও তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।

গত ৯ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয়েছে আজ। যদিও ওই মাদ্রাসা পরিচালক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর কম্বল ঠিক করার কথা বলে গোপ্তাখালী জামে মসজিদের অভ্যন্তরে এ অপরিচিত কিশোরকে নিয়ে যান মসজিদের খতিব ও ইমাম সিরাজউদ্দৌলা শামীম। আনুমানিক ৩০ মিনিট পর সেখান থেকে বের হয়ে ছেলেটি স্থানীয়দের কাছে তাকে বলাৎকার করার অভিযোগ আনেন। এরপর কয়েকজন এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি বিষয়টি নিয়ে সিরাজউদ্দৌলা শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ছেলেটিকে শুধুমাত্র মহব্বত করে আদর করেছেন বলে দাবি করেন। বলাৎকারের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটি তাকে তাৎক্ষণিকভাবে খতিব এবং ইমামের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করে। একই সাথে সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক ডেকে তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেন। অন্যদিকে বলাৎকারের অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করলে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সিরাজউদ্দৌলা শামীম।

এ বিষয়ে সিরাজউদ্দৌলার শামীম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এলাকায় ভালো কাজ করতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বলে। যে কিশোরটির কথা বলা হচ্ছে মহব্বত করে শুধু তার মাথায় এবং দাড়িতে হাত বুলিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

গোপ্তাখালী মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন বলেন, আমরা ভালো মানুষ ভেবে সিরাজউদ্দৌলা শামীম কে নিয়োগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর থেকে উনার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বলাৎকারের অভিযোগে গত ১০ তারিখ তাকে আমরা বহিস্কার করি। বিষয়টি সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে গেলে সেখানেও তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল বলে আমাদেরকে জানানো হয়।

সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ওসমান গনি বলেন, গত এক বছর আগেও সিরাজউদ্দৌলা শামীমের বিরুদ্ধে একই ধরনের একটি অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় তিনি শয়তানের প্ররোচনায় এই ধরনের কাজ করেছিলেন বলে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেন। কিন্তু একই ধরনের অভিযোগ আবারও উঠায় তাকে আমরা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি বিদেশ সফরে আছেন তিনি দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে সীতাকুন্ড থানার এএসআই হাবিব খান বলেন, ফেসবুকে অপপ্রচারের একটা অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে বলাৎকারের বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;