সীতাকুণ্ডের চার জয়িতার গল্প 

সীতাকুণ্ডের চার জয়িতার গল্প 
সীতাকুণ্ডের চার জয়িতার গল্প 

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত মীর মোহাম্মদ চৌধুরীর স্ত্রী সুলতানা বেগম। তিন ছেলে এবং দুই মেয়ের মা সুলতানা বেগম এখন বসবাস করেন চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকায়। তাঁর বড় ছেলে মির্জা শওকত আলী চৌধুরী মামুন রিজি গ্রুপের কর্ণধার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মেজ ছেলে মির্জা জামশেদ আলী চৌধুরী রিজি গ্রুপের বৈদেশিক সমন্বয়ক। ছোট ছেলে মির্জা আকবর আলী চৌধুরী খোকন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বিকেএমইএর পরিচালক। তাঁর দুই মেয়ের একজন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। অপর মেয়ে দেশে প্রতিষ্ঠিত।

সীতাকুণ্ডে এবার যে চার নারী জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে এবার সফল মা হিসেবে সুলতানা বেগম একজন। অন্যান্য জয়িতারা হলেন ডা. উম্মে হানি, রাশেদা আক্তার ও তানজিনা আক্তার। নিজেদের পাশাপাশি অন্য নারীদের স্বাবলম্বী করতে অনুপ্রেরণা জুগানোর কারণে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় তাঁদের জয়িতা নির্বাচিত করেছে।

আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এসব জয়িতার হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অদম্য সাহস, দৃঢ় মনোবল এবং অবহেলিত নারীদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করায় চার নারীকে জয়িতা নির্বাচিত করা হয়।

এবার শিশু শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের মো. হোসেনের স্ত্রী রাশেদা আক্তার। সমাজের বঞ্চিত ও অবহেলিত শিশুদের শিক্ষিত করতে রাশেদা আক্তার উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে গড়ে তোলেন ‘শিশু চারণ নিকেতন’ নামের বিদ্যালয়। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী ও অবহেলিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করছেন।

অন্যদিকে চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখায় জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. উম্মে হানি। তিনি উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের গ্রামের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিনের মেয়ে।

এবার সফল উদ্যোক্তা হিসেবে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজীর স্ত্রী তানজিনা আক্তার। চট্টগ্রামের লাল খান বাজার এলাকায় ইয়াহিয়া টাওয়ারে লেডি লাউঞ্জ নামের একটি মেকওভার স্টুডিও স্থাপন করেন তিনি। সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে কয়েকজন নারীর চাকরির ব্যবস্থা করেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, পুরুষশাসিত সমাজের সব বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে জীবনসংগ্রামে নারীরা জয়ী হতে পারেন। তাই প্রমাণ করেছেন এই চার জয়িতা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, জীবনের বাধা-বিপত্তি ঠেলে মনোবল নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই। তিনি বলেন, সমাজের অবহেলিত নারীদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করার মাধ্যমে অন্য নারীও এগিয়ে আসুক ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;