সীতাকুন্ডে ১৮ টি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে, অধিকাংশের অনুমোদন নেই

সীতাকুন্ডে ১৮ টি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে, অধিকাংশের অনুমোদন নেই
সীতাকুন্ডে ১৮ টি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে, অধিকাংশের অনুমোদন নেই

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুন্ডের বিভিন্নস্থানে ১৮ টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে । এর মধ্যে অধিকাংশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অনুমোদন নেই। নেই কোন নীতিমালা, তারা রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো সীতাকুন্ডেও ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হাতপাতাল এ ডাইগনষ্টিক সেন্টার। এগুলো অধিকাংশের নেই কোন নীতিমালা । নেই স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অনুমোদন, পরিবেশ ছাড়পত্র। ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া রোগীদের কাছ থেকে যার যার মতো ইচ্ছামতো বিল আদায় করে থাকে।

রোগীর পরিক্ষা নিরীক্ষায় নেই প্রশিক্ষন প্রাপ্ত টেকনিশিয়ান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই এমবিবিএস ডাক্তারের স্বাক্ষর দিয়ে রিপোর্ট সরবরাহ করে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

রোগীর বিভিন্ন পরিক্ষা সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের দেখার পর তিনি রিপোর্ট দিবেন এটাই নিয়ম রয়েছে। এতে ডাক্তার কিছু কমিশন পেয়ে থাকেন, অনেক ক্ষেত্রে কমিশন বাঁচাতে টেকনেশিয়ান নিজেরাই স্বাক্ষর দিয়ে দেন ফলে রিপোর্ট ভূলবাল হয়ে থাকে আর এ ক্ষেত্রে রোগী হয় হয়রানীর স্বীকার । অভিযোগের পাহাড় হয়ে গেলেও স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডাইগনষ্টিক সেন্টার গুলো বন্ধের উদ্যোগ নেন অতিসম্প্রতি।

সীতাকুন্ডে প্রায় ১৮ টি প্রাইভেট হাতপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, এগুলো হলো, সীতাকুন্ড জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সীতাকুন্ড মর্ডান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ন্যাশানাল হাসপাতাল, সেবা ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ফেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডায়গনষ্টিক সেন্টার, পদ্মা ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হেলথ্ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কুমিরা অরবিট ডায়াগনস্টিক সেন্টার,সী ভিউ ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হেল্থ প্লাস ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভাটিয়ারী ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফৌজদারহাট ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইত্যাদি ।

এগুলোর মধ্যে সোমবার স্বাস্থ্য বিভাগ ও সীতাকুন্ড নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এক অভিযানে কুমিরায় সী ভিউ ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হেলথ্ প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজ পত্র না পেয়ে সিলগালা করে দেন। এসময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষ কেউ না থাকায় অন্য কোন আইনগত ব্যবস্হা নেয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শাহদাৎ হোসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার ল্যাব-ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে। আমরা প্রতিটি প্রাইভেট হাসপাতাল কে তল্লাসী করবো, বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান না থাকলে ব্যবস্হা নেয়া হবে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে টেকনিশিয়ান ডিপ্লোমা প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত অবশ্যক বলেও তিনি জানান।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;