সন্দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য যাচ্ছে ভূমি সার্ভে প্রতিবেদন

সন্দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য যাচ্ছে ভূমি সার্ভে প্রতিবেদন

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি।।

প্রায় ১৪ হাজার একর ভূমির উপর সন্দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে সন্দ্বীপ থানার নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সার্ভে প্রতিবেদন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসেছে। এক সপ্তাহ আগে আসা এ প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অনুমোদন পাওয়ার পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে এ ভূমি রেজিস্ট্রেশন করে দিয়ে সর্বশেষ ধাপ সম্পন্ন করবে।

জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বেজার পক্ষ থেকে প্রথমে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে ভূমি বন্দোবস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-১ মো. জিয়াউল হক। চিঠিতে সন্দ্বীপের ৬টি মৌজার ১৩ হাজার দশমিক ৪২৬৪ একর খাস জমি বিনা সেলামি বা প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তির প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়। এরপর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্দ্বীপের থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই প্রতিবেদন এক সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসেছে। বাকি রয়েছে আর দুটি ধাপ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও জেলা প্রশাসনের রেজিস্ট্রেশন। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র (সার্ভে প্রতিবেদন) পাঠানো হচ্ছে।

তথ্য মতে, সন্দ্বীপ উপজেলার বাথানবাড়িতে ২২৫৪ দশমিক ৩১৫৬ একর, চিরিঙ্গায় ২২৪০ দশমিক ৬১৬২ একর, কাঁকরার চরে ২১৭৫ দশমিক ৩৯৪৪ একর, বোয়ালিয়ায় ২১৭৪ দশমিক ৯৮৬ একর, বাগারচরে ২০৪৮ দশমিক ৭০০৭ একর, চর কাউনিয়ায় ২১০৬ দশমিক ৪১৩৫ একর অর্থাৎ ১৩ হাজার দশমিক ৪২৬৪ একর জায়গা বেজাকে বন্দোবস্তি প্রদানের অনুমোদন প্রদানের সর্বশেষ ধাপের প্রক্রিয়া চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১ নং খাস খতিয়ানের ৬ মৌজা এলাকায় ১৩,৯৫৭ দশমিক ৪৮৯৪ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে নদী ও খাল শ্রেণি ৯৫৭ দশমিক ৬৩ একর। অবশিষ্ট ১৩ হাজার ৪২৬৪ একর হচ্ছে চরভূমি। এ ভূমিতেই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।

সন্দ্বীপ উপজেলার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয় বেজা। মৌজাগুলোর জমির মালিকানা, স্কেচম্যাপ ও দাগ সম্বলিত সার্ভে প্রতিবেদন ও এ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম জাকারিয়া জানান, সন্দ্বীপ থেকে এ সংক্রান্ত সার্ভে প্রতিবেদন পাওয়ার আমরা তা অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর বেজার অনুকূলে উল্লেখিত ভূমি রেজিস্ট্রেশন করে দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।