সাংবাদিক তার নিউজের তথ্যের সোর্স কারও কাছে প্রকাশে বাধ্য নয়: হাইকোর্ট

সাংবাদিক তার নিউজের তথ্যের সোর্স কারও কাছে প্রকাশে বাধ্য নয়: হাইকোর্ট
সাংবাদিক তার নিউজের তথ্যের সোর্স কারও কাছে প্রকাশে বাধ্য নয়: হাইকোর্ট

আদালত ডেস্ক ।।

সাংবাদিকরা সংবাদের সোর্স (উৎস) প্রকাশে বাধ্য নন বলে এক রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ রোববার এক রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেন। খবর বাসসের।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সাংবাদিকরা সংবাদের সোর্স (উৎস) প্রকাশে বাধ্য নন। সংবিধান ও আইন সাংবাদিকদের সে সুযোগ দিয়েছে। দুর্নীতি, অর্থপাচারসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে সংবাদ প্রকাশে আইন সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিয়েছে। আদালত বলেছে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গণমাধ্যমের কাজ হলো, জনগণকে সজাগ করা। বর্তমান সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হলুদ সাংবাদিকতা গ্রহণযোগ্য ও সমর্থনযোগ্য নয়। আদালত পর্যবেক্ষণে আরো বলেছেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে দেয়া আছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক বিশ্বে জানার অধিকার সবারই আছে।

আদালত বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গণমাধ্যমের কাজ হলো জনগণকে সজাগ করা। তবে হলুদ সাংবাদিকতা গ্রহণযোগ্য ও সমর্থনযোগ্য নয়। সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমের মনোযোগী হওয়া উচিত। ৫১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ভারতের উচ্চ আদালতের রায়ের উদাহরণ তুলে ধরে আদালত বলেছেন, আমাদের বলতে দ্বিধা নেই যে, সাংবাদিকরা তাদের সংবাদের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নন। সংবিধান ও আইন তাদের সুরক্ষা দিয়েছে।

‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে, হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেছিল। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে দেন আদালত। রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নতুন তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে, ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে প্রেস কাউন্সিলে যেতে বলা হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;