সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে চলছে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ মালামাল পরিবহন

সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে চলছে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ মালামাল পরিবহন
সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে চলছে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ মালামাল পরিবহন

বিশেষ প্রতিবেদক।।

সরকারি এবং রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে প্রতিদিন ঝূকিপূর্ণ মালামাল নিয়ে অবৈধভাবে পরিবহনে যাতায়ত করায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কে চলাচলকৃত পরিহনের বডির বাইরে যায় এরকম কোনো মালামাল আনা-নেয়া করা আইনগতভাবে অবৈধ নিষেধ থাকলেও মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে মালামাল আনা-নেয়া করে আসছে একটি সিন্ডিকেট।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কে প্রায় সময় নারায়ণগঞ্জের আড়াাইহাজারের কন্দপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের কাজসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালামালগুলো নিয়ে যাচ্ছে তারা। এসব মালামাল পরিবহনে রয়েছে বিশাল এক সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে অন্য কেউ মালামালগুলো পরিবহন করতে চাইলে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।   

নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারের কন্দপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের কাজটি সুইজ নামে একটি বিদেশি কোম্পানিকে বাস্তায়নের দায়িত্ব দেয় সরকার। এতে সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজটি পায় এডিডোর নামের একটি কোম্পানি। কাজের অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় বিশাল লোহার পাইপ, যার ডায়া ৭২ ইঞ্চি লম্বা ২৮ ফুট। এই পাইপটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একটি করে ৪০ ফুটের একটি ট্রেইলর গাড়ি করে চট্টগ্রামের হালিশহর আব্বাসপাড়া  ডিপোতে এনে ডাম্পিং করা হয়, যা পরিবহন করে হাক্কানী পাম্প ও আরএম মোটরস নামক দুটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি।

সরকারি এবং রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের নিয়ম হলো- কোনো গাড়ি তার নিজের বডি হতে বাইরে কোনোকিছু পরিবহন করতে পারবে না। গাড়ির বডির বাইরে বের হয় এরকমভাবে মালামাল পরিবহন করতে চাইলে পরিনবহন ও পরিবহনের মালিক-শ্রমিকের জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু আইন না মেনে তারা দুটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি তিনটি লোহার এঙ্গেল দিয়ে  ৮ ফুট বডিকে দুই ফুট করে চার ফুট বাড়িয়ে তিনটি পাইপ পরিবহন করছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক।

এবিসি আরে মোটরসের মালিক মোহাম্মদ রাশেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলেও এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে এডিডোরের চট্টগ্রামে দায়িত্বরত কিশোর নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা আরএম মোটরসের সাথে একটি পাইপ পরিবহনে চুক্তি করেছি। এভাবে পাইপ পরিবহনের বিষয়ে আইনগত দিক আমার জানা ছিল না। আমি আমার ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তার সাথে কথা বলব। তিনটি করে পাইপ পরিবহনের ব্যবস্থা করব।

চট্টগ্রাম ট্রেইলর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত। যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন।