১০ বছর পর সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার অপারেশন

১০ বছর পর সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার অপারেশন
১০ বছর পর সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার অপারেশন

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

দীর্ঘ ১০ বছর পর সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি সিজার অপারেশন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার দোয়াজীপাড়া গ্রামের মো. সিরাজ হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তারের (২০) সিজার অপারেশন করা হয়। রুমা আক্তার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। দীর্ঘদিন পরে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে সিজার অপারেশন চালু হওয়ায় খুশি চিকিৎসক-নার্সসহ উপজেলার মানুষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে রুমা আক্তার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে প্রসূতির সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদের নেতৃত্বে অপারেশন টিমে ছিলেন ডা. খদিজা আক্তার পান্না, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. আইরিন চৌধুরী, ডা. জেসমিন আক্তার, ডা. খোদাদাদ মো. জুবায়দুল হুদা, ডা. মিলজার হোসেন, নার্স সুষমা সরকার, হোসনেয়াারা, ইন্দিরা চৌধুরী, ইয়াসমিন আক্তারসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রসূতির স্বামী সিরাজ হোসেন বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে সবাই বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তুসামর্থ্য না থাকায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না। এরপর ধীরে ধীরে তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা হাসপাতালে সিজারের ব্যবস্থা করেন। পরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ আছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ২০০৫ সালের প্রথম দিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এই হাসপাতাল। কিন্তু চিকিৎসক সংকট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সমপ্রতি কয়েকজন চিকিৎসক যোগদান করায় সিজার অপারেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া প্রসূতিদের সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ায় সীতাকুণ্ডের আশপাশের এলাকার মানুষ উপকৃত হবে এবং আরও উন্নত হবে স্বাস্থ্যসেবার মান।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;