ডেঙ্গু কেড়ে নিল স্কুলছাত্রীর প্রাণ, চট্টগ্রামে হাসপাতালে ভর্তি ৪৮

ডেঙ্গু কেড়ে নিল স্কুলছাত্রীর প্রাণ, চট্টগ্রামে হাসপাতালে ভর্তি ৪৮
ডেঙ্গু কেড়ে নিল স্কুলছাত্রীর প্রাণ, চট্টগ্রামে হাসপাতালে ভর্তি ৪৮

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে জেলায় আরও ৪৮ জন ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। 

সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক নুরুল হায়দার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে নতুন করে আরও ৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মারা গেছেন একজন।

মারা যাওয়া শ্রাবন্তী সরকার টুসু নগরীর সেন্ট স্কলাসটিকা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

শ্রাবন্তীদের গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়া হলেও মা-বাবা আর ভাইয়ের সঙ্গে থাকত চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটের বাসায়। কদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয় শ্রাবন্তী। প্রথমদিকে ওষুধ খাওয়ার পরও জ্বর না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শে তার ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় পজিটিভ এলে দফায় দফায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান বাবা-মা। প্লাটিলেটের পরিমাণ ঠিক থাকায় ঘরে বিশ্রামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আইসিউতে চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হলেও আর সাড়া দেয়নি শ্রাবন্তী। রাত ৮টার দিকে মারা যায় সে।

শ্রাবন্তীর চাচা জুয়েল দাশ বলেন, রাতেই বলুয়ারদীঘি শ্মশানে শ্রাবন্তীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

সেন্টসক্লাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী গান করত এবং ছবি আঁকত বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।

শ্রাবন্তীর বড়ভাই কমার্স কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুদীপ সরকারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নগরীর অপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, এ বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের; এর মধ্যে জুলাই মাসের পাঁচ দিনেই মারা গেল তিনজন।

জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬১ জন; তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪০ জন।

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ১২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩৫জন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;