এসআই হেলালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
এসআই হেলালের বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ‘আত্মহনন’ করা সাদমান ইসলাম মারুফের মা ও বোনকে নির্যাতন ও শারীরিক লাঞ্চনার দায়ে মারুফের মা রুবিনা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে এ মামলাটি করেন।
আজ সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে আদালত মামলাটি নিয়ে তৃতীয় শুনানি করেন। শুনানির একপর্যায়ে আদালত সোর্সকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নেন এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী রুখসানা আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়,পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েই সাদমান ইসলাম মারুফ মৃত্যু বরণ করেন। বিষয়টি আদালতের কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরা হলে আদালত আজ মামলা আমলে নেন। তদন্তের জন্য নগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
তবে, ঘটনার সুত্রপাত যে সোর্সদের নিয়ে তাদেরকে মামলায় রাখার আবেদন ছিল। সোর্সরা নন-পুলিশ বলে আদালত তাদের রাখেননি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ডবলমুরিংয়ের বাদামতলী বড় মসজিদ গলিতে মারুফ নামের এক তরুণের উপর চড়াও হয় হেলাল খানের দুজন সোর্স। এ দুজন সোর্স দশম শ্রেণি পড়ুয়া তরুণ মারুফ, তার মা রুবি আক্তার ও বোন নেহাকে মারধরসহ শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন।
সোর্সদের সাথে যোগ দিয়ে এ হেলাল খানও মারুফসহ তার মা বোনকে বেদম পিটিয়ে আহত ও লাঞ্চিত করেন। মারুফ পালাতে পারলেও পায়ে ধরেও হেলাল খানের কাছ থেকে নিস্তার পায়নি মারুফের মা বোন। তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে সেই সাদা রংয়ের নোহা গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে মা বোনের এমন লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ও থানায় নেয়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে পাশের করিম চাচার ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ১৬ বছরের তরুণ সাদমান ইসলাম মারুফ।
এ ঘটনার পরপরই এসআই হেলালকে চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ও বিভাগীয় মামলার আসামি হন। এছাড়া ডবলমুরিংয়ের ওসি সদীপ দাশকে অধীনস্থ অফিসারকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় শোকজ করে সিএমপি।