চট্টগ্রামের অধিকাংশ করোনা রোগী বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগ্রামের অধিকাংশই করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গের রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন না। প্রায় ৯০ শতাংশ রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাছাড়া অনলাইনে দেওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও অনুসরণ করছেন অনেক রোগী। ফলে অনেক হাসপাতালে শয্যা খালি পড়ে আছে বলে জানা যায়। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ার বিড়ম্বনা, ভর্তি থাকাকালীন আয়া-ওয়ার্ডবয়দের দুর্ব্যবহার, ওয়ার্ডের অস্বস্তিকর পরিবেশ, চিকিৎসা পেতে ভোগান্তিসহ নানা কারণে অনেকেই এখন হাসপাতালে ভর্তি হতে চান না।
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নমুনা পরীক্ষায় শুক্রবার (১৭ জুলাই) ৭টি ল্যাবে ৯৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় আর ১৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৬৬৯ জনে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হলেও অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। তারা বাসায় থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এটি ভালো দিক।’
তিনি বলেন, এখন সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে করোনা ও উপসর্গের রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীর তথ্য প্রকাশ্যে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কতজন কভিড এবং কতজন নন-কভিড রোগী ভর্তি আছেন, কতজন ছাড় পেয়েছেন, সব তথ্য রাখা হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. জামাল মোস্তফা বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে মানুষের মধ্যে ভীতি ছিল। অল্পতেই অনেকে ভয় পেয়ে যেতেন। এখন সেই ভয় ধীরে ধীরে কমছে। ফলে হাসপাতালমুখী হওয়ার প্রবণতা কমে আসছে। কমছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৪৭৯টি। এসব হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন মাত্র ৩১৪ রোগী, ৩৪৩ শয্যাই এখন খালি। তাছাড়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যা আছে ২৪টি, এর মধ্যে রোগী ভর্তি আছে মাত্র ২০ জন। চমেক হাসপাতালের কভিড রেড ও ইয়েলো জোনে রোগী ভর্তি আছেন ১৬৯ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউসহ ১৬০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ১০০ জন। তাছাড়া নগরের এক্সেস রোডে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চালু করা ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ২৪ জন এবং হালিশহরের ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ৩৭ জন।