ঢাকাবাসী অভিভাবক নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন

ঢাকাবাসী অভিভাবক নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন
ঢাকাবাসী অভিভাবক নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নতুন মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭৫৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী ১৩ জন, কাউন্সিলর পদে ৭৪৪ জন। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। এই সিটিতে ওয়ার্ড ৫৪টি, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১৮টি। মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৩৪৯টি, ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৫১৬টি। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। এই সিটিতে ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১২৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে পাঁচ হাজার ৯৯৮টি। দক্ষিণ সিটিতে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৭৫টি, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ২৫টি।

ঢাকা উত্তর সিটিতে চূড়ান্তভাবে মেয়র পদে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির তাবিথ আউয়াল, বাঘ প্রতীকে পিডিপির শাহীন খান, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফজলে বারী মাসউদ, কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাজেদুল হক ও আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ান।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত জন। তারা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ইশরাক হোসেন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুর রহমান, ডাব প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে আয়াতউল্লাহ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহরান ও মাছ প্রতীক নিয়ে গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন।

অন্যদিকে এই দুই সিটির নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ রাত ১২টা পর্যন্ত এ ঘোষণা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

একইভাবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা মহানগরে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে মোটরসাইকেল চলাচলে। তবে কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে চলাচল করছে কিছু যানবাহন।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে ভোটের সময় যান চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, বেবি ট্যাক্সি-অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, ট্রাক, টেম্পো ও অন্যান্য যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আর মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত।