ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চট্টগ্রামের পাপিয়ারা

ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চট্টগ্রামের পাপিয়ারা
ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চট্টগ্রামের পাপিয়ারা

অপরাধ ডেস্ক ।।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ক্ষমতার বলয়ে উত্থান হয়েছে অন্ধকার জগতের ২০ পাপিয়া । এসব পাপিয়ারা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড। তাদের নেতৃত্বেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্পটে চলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। তাদের ডেরায় বসে মদ জুয়ার আসর। রাতভর চলে নাচের আসর থেকে শুরু করে মাদকের জমজমাট আসর। প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় চট্টগ্রামে ‘পাপিয়াদের’ অসামাজিক কর্মকান্ড চালানোর বিষয়টি প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু রঙ্গশালা আছে। রঙ্গশালায় যোগ দেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তি, রাজনীতিবিদ, পুলিশের কর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। অভিযোগ রয়েছে এসব রঙ্গশালার মদদে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও পুলিশের গুটিকয়েক অসাধু কর্মকর্তা।

তাদের প্রত্যক্ষ মদদে এসব অন্ধকারের পাপিয়ারা হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। এসব অন্ধকার জগতের ডনদের একজনের রেখা।রেখা তার অসামাজিক ও মাদকের ডেরা গড়ে তুলেছেন সিএমপির খুলশী থানার পাশেই অভিজাত খুলশী এলাকার ৫নং রোডের ৮নং বাড়িতে। এ বাড়িটি রহস্যে ঘেরা। বাইরে থেকে মনেই হবেনা বাড়িটি অপরাধ জগতের এক স্বর্গরাজ্য। এই ডেরার প্রত্যক্ষ মদদে রয়েছে ‘দ’ আদ্যাক্ষরের স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। রেখার মতো আছেন আরো কমপক্ষে ২০ জন মক্ষীরানী। যারা নিয়ন্ত্রন করছেন চট্টগ্রামের অন্ধকার জগতের বিশাল একটা অংশ।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামের পাপিয়াদের বেপোরোয়া কর্মকান্ডের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা। তাদের নেপথ্য প্রস্রয়ে অন্ধকার জগতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে তারা। তাদের মধুকুঞ্জে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ উচ্ছেদের চেষ্টা চালালেও থানা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের আশির্বাদে ফের বহাল হয়েছেন পাপিয়ারা। হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের কাছে সুন্দরী নারী কিংবা তরুণী সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেত্রী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা লীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধেও। পাপিয়ার পর আলোচনায় আসে এ দুই নেত্রী। যার মধ্যে ঢাকার আলোচিত মহিলা লীগ বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার সঙ্গে একজনের কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একইভাবে পাঁচলাইশ থানার অদূরেই ৬ নং রোডে রয়েছে মিম ও তার স্বামী কামরুজ্জামান সুমনের অসামাজিক কর্মকান্ড ও মাদকের আস্তানা। কামরুজ্জামান সুমন নিজেকে চাঁদপুর জেলার এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের নিকট আত্মীয় পরিচয় দেন। অভিযোগ রয়েছে মিমের এ অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আয়ের একটি অংশ প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তির পকেটে যাওয়ার। সাধারন জনমনে প্রশ্ন, পাাঁচলাইশ থানার নাকের ডগায় এসব অনৈৈতিক কর্মকান্ড চলে কি করে!!

চট্টগ্রামের পাপিয়াদের মধ্যে যারা আছেন, পাঁচলাইশ থানা এলাকার শাহনাজ দিদি, হালিশহর থানার কথিত ক্যাশিয়ার শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ডন মিনা, বন্দর থানা এলাকার রোজিনা আকতার ও তার স্বামী মোবাইল সোহেল, চকবাজার খালপাড় এলাকার মাইকেল নাসরিন, আকবর শাহ থানা এলাকার মনি, কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জের চাঁদপুরের সুমা ভাবি, ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকার রানী আকতার, নাজমা বেগম সহ আরো অনেকে। সুত্র. সিএনএন