পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সীতাকুণ্ড বি এম ডিপু বিস্পোরনে নিহত মনির

পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সীতাকুণ্ড বি এম ডিপু বিস্পোরনে নিহত মনির
পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সীতাকুণ্ড বি এম ডিপু বিস্পোরনে নিহত মনির

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন সীতাকুণ্ড বি এম ডিপু বিস্পোরনে নিহত মনির। শুক্রবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মা শিশু হাসপাতালে নিহত মনিরের স্ত্রীর কোল জুড়ে আসে এ সন্তান ।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়ে পুরো প্রকম্পিত হয়ে উঠে। দুর্ঘটনার সময় বিএম ডিপোতে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট ফকিরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান (প্রকাশ - শাহজাহান) এর ছেলে আব্দুল মনির হোসেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি বিএম ডিপোতে কাজ করছিলেন । বিস্ফোরণের ঠিক আগ মূহুর্ত্বে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা একটি ছবিতে তাকে দেখা যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে আব্দুল মনির হোসেনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না । পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মর্গে থাকা লাশের মাঝে আব্দুল মনির হোসেনের লাশের সন্ধান পান তাঁর পরিবার এবং মরদেহ সংগ্রহ করে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করেন ।

এ সময় তাঁর স্ত্রী ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা ছিলেন । বিস্পোরনের পর থেকে চলতে থাকা শোকের মাতম এখনো থামেনি। মনিরের মা হােসনে আরা বেগমের "তোরা আর পােয়ারে আনি দে ( তুমরা আমার ছেকে এনে দাও )" আর্তনাদ বা মনিরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রহিমার চোখে দুশ্চিন্তায় পাহাড়। মাত্র সাত মাস আগে মনিরের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। রহিমা আক্তার তখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর জন্য কেঁদে কেঁদে যেন নিস্তেজ হয়ে গেছেন। শুধু নির্বাক তাকিয়ে ছিলেন রহিমা। অতি শোকে যেন পাথর হয়ে গেছেন। অবশেষে সেই মনিরের ঘর আলোকিত করে এলো পুত্র সন্তান । কিন্তু এ সন্তান কাকে বাবা ডাকবে, সে সন্তান জন্মের আগে হারিয়ে ফেলেছে তাঁর বাবাকে ?   

নিহত আব্দুল মনির হোসেনের বাবা আব্দুল হান্নান জানান, আমার ছেলেকে পেলাম না । সে পারপারে চলে গেছে । সব আল্লাহ্‌র ইচ্ছা । এখন নাতী পেলাম, তাঁর মাঝেই আমি আমার ছেলে মনিরকে খুঁজে নেব। তাকে নিয়েই আমি আমার ছেলে হারানোর কথা ভুলে যেতে চাই।

নিহত আব্দুল মনির হোসেনের ভাই আলমগির জানান, আমাদের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী'র কোলজুড়ে ছেলে সন্তান এসেছে । আমরা অনেক খুশি কিন্তু ছেলে তাঁর বাবাকে দেখলোনা । আমরা তাকে আমাদের নিজ সন্তানের মতো বড় করে তুলতে চাই ।

ক্ষতিপূরণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারে কোন খোঁজ খবর কেউ নেয়নি এবং কোন অর্থ সহায়তা তাদের করা হয়নি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;