প্রধানমন্ত্রী ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

প্রধানমন্ত্রী ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন
প্রধানমন্ত্রী ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ,পারস্পরিক আস্থা, প্রত্যয় ও শুভকামনার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গত এক দশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন ।

সোমবার বিকালে নিজের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের ভারতের ‘ড. কালাম স্মৃতি আন্তর্জাতিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ নেওয়ার পর বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।

সম্মানজনক পুরস্কারটি প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে উৎসর্গ করেন। খবর: বাসস।

ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আব্দুল কালামের স্মৃতি স্মরণে ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল নামের সংগঠন ২০১৫ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।

এর আগে মালদ্বীপ, ঘানা ও মরিশাসের রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার পেয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি সাইজু ডেভিড আলফি।

বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক স্থাপন, দেশের জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করা, বিশেষত নারী ও শিশুদের এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ বছর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “পারস্পরিক আস্থা, প্রত্যয় ও শুভ কামনার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গত এক দশকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন প্রচলিত ও অপ্রচলিত ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতিও সাধিত হয়েছে। আমি মনে করি বিশ্ববাসীর কাছে এটাও একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেও আমরা সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি প্রতিবেশী দেশের সাথে সমস্যা থাকবেই। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের সাথে সর্বক্ষেত্রে একটা সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকলে সে সমস্ত দেশে উন্নয়ন করা অনেক সহজ হয়।

“সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পাশাপাশি সেই সমস্ত বিষয়ে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি, কারণ আমাদের সব সময় চিন্তা করতে হবে জনগণের কথা। শুধু আমাদের দেশের জনগণ না, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণ যাতে সুফলটা পেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু আমরা আমাদের পদক্ষেপ নিই।”

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের উন্নয়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে ঘিরে একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি, যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে। সেভাবে আমরা আমাদের কাজগুলো করে যাচ্ছি। আমাদের উন্নতির ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

পুরস্কার উৎসর্গ

ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এই পুরষ্কার আমাকে দিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষকে সম্মানিত করেছেন। আমি মনে করি জনগণই হচ্ছে মূল শক্তি। সেই জনগণের প্রতি আমার সকল প্রাপ্ত পুরষ্কার উৎসর্গ করেই আমি এই পুরস্কার গ্রহণ করছি।

“এই পুরস্কার আমাকে এবং আমার সরকারকে আগামী দিনগুলোতে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে জনগণের বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনে উৎসাহ জোগাবে।”

তিনি বলেন, “ড. এ পি জে আব্দুল কালামের আদর্শ ও শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রবর্তিত ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী একজন বিজ্ঞানী এবং ভারতের স্বনামধন্য রাষ্ট্রপতি যাকে আমি সব সময়ই সম্মান এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখি। আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান উপদেষ্টা টি পি শ্রীনিবাসন ও চেয়ারপারসন দীনা দাস প্রমুখ।