প্রিয়াংকাকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত থেকে সরাতে পাক মন্ত্রীর চিঠি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

প্রিয়াংকাকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত থেকে সরাতে পাক মন্ত্রীর চিঠি
প্রিয়াংকাকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত থেকে সরাতে পাক মন্ত্রীর চিঠি

বৈশ্বিক শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে প্রিয়াংকা চোপড়াকে সরাতে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফের প্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখেছেন পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরীন মাজারি।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্যের মাধ্যমে পারমাণবিক যুদ্ধ উসকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়ার বিরুদ্ধে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা এইচ. ফোরকে লেখা চিঠিতে শিরীন মাজারি অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করেন। চিঠিতে তিনি বলেন, এটা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সব আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের ফল।

শিরিন মাজারি অভিযোগ করেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে।

হলিউডে নাম লেখানোর আগে বলিউডে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াংকা। এবার লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি প্রসাধনী বিষয়ক অনুষ্ঠানে এক দর্শকের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে, যা তার জন্য কিছুটা বিব্রতকরও ছিল।

প্রিয়াংকা চোপড়াকে মূল আকর্ষণ করে বিউটিকোন প্যানেলের প্রশ্ন ও তার জবাবের সময় মাইক্রোফোন চলে যায় এক তরুণির হাতে। টুইটারে যার নাম আয়েশা মালিক।

প্রশ্ন পর্বে আয়েশা মালিক বলেন, মানবতা নিয়ে আপনি যে কথা বলছেন, তা শুনতে এক ধরনের কঠিনই লাগছে। কারণ আপনার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের একজন নাগরিক হিসেবে, আমি জানি, আপনি কিছুটা প্রতারক।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াংকা চোপড়ার অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে করা একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করেন আয়েশা। ওই পোস্টে লেখা ছিল, জয় হিন্দ, যার অর্থ দাঁড়ায় ভারতের বিজয়।

বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তান তখন আকাশযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। আয়েশা মালিক বলেন, আপনি ইউনিসেফের একজন শান্তির দূত। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধ উসকে দিচ্ছেন আপনি। এতে কেউ-ই বিজয়ী না।

তিনি বলেন, কয়েক কোটি পাকিস্তানি আপনার ভক্ত। তারা বলিউডে আপনার অভিনয়কে সমর্থন করেন।

এসময় কর্মীরা আয়েশা মালিকের কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তবে মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাসের স্ত্রী প্রিয়াংকা বলেন, আমি আপনার কথা শুনতে পেয়েছি। আপনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন।

৩৭ বছর বয়সী প্রিয়াংকা বলেন, যুদ্ধ এমন কিছু না, যেটার প্রতি আমি অনুরক্ত। কিন্তু আমি দেশপ্রেমিক। আমি মনে করি, দুই বিরোধী শক্তির মাঝ দিয়ে চলতে আমাদের একটি মধ্যস্থতার পথ দরকার।

এই অভিনেত্রী বলেন, এখন তুমি যেভাবে আমার কাছে এসেছ, চিৎকার করো না, মেয়ে। আমরা সবাই এখানে ভালোবাসার জন্য এসেছি। চিৎকার করো না। নিজেকে বিব্রত করো না।

‘তোমার প্রবল আগ্রহ, প্রশ্ন ও কণ্ঠের জন্য আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ।’