বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে : সংসদে তথ্যমন্ত্রী

সংসদ প্রতিবেদক 
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলা চলচ্চিত্র যুগোপযোগী করার পাশাপাশি শিল্পীদের কল্যাণ ও উন্নয়নে রাজধানীর কালিয়াকৈর উপজেলার কবিরপুরে ১০৫ একর জমির ওপর আন্তর্জাতিক মানের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার উন্নয়নে ৩২২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বারোতলা ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন আইন ১৯৫৭ বাংলায় অনুবাদ ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৯-এর খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হয়েছে। চলচ্চিত্র পাইরেসি নিরোধ আইন ২০১৮-এর খসড়া মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। বিএফডিসির বারোতলা ভবন নির্মাণের জন্য ৩২২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও দেশীয় সংস্কৃতি লালনে যেকোনো ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকার বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।
সরকারি দলের সদস্য বেনজীর আহমদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৭৭টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০। প্রথম আলোর প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার। কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ ও আমাদের সময়ের প্রচার সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রচার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮১৪, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও ডেইলি সানের প্রচার সংখ্যা ৪১ হাজার।
বর্তমান সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, যার মাধ্যমে সরকার অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৮৮টি পত্রিকায় অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতোমধ্যে নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নকারী পত্রিকাগুলোয় সমান হারে বিজ্ঞাপন প্রদান করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রশিল্পীদের জন্য একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের কাজ এগিয়ে চলছে। সরকারি দলের অন্য সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, জেলা পর্যায়ে প্রেস ও মিডিয়া কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক পর্যায়ে ২৬টি জেলায় এবং একটি উপজেলায় তথ্য কমপ্লেক্সে নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।