বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফান্ড নিয়ে রিয়াজ-মিশার উত্তেজনা চূড়ান্তে

বিনোদন ডেস্ক ।।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফান্ড নিয়ে রিয়াজ-মিশার উত্তেজনা চূড়ান্তে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফান্ড নিয়ে রিয়াজ-মিশার উত্তেজনা চূড়ান্তে

রাজধানীর বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক সাধারন সভার আয়োজন করা হয়। তবে সেই সভায় কথা বলতে না দেয়ার বেরিয়ে যান বর্তমান কমিটির সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ। এরপর থেকে সবদিক থেকে শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা।

মিডিয়ার সবার মুখে একটিই প্রশ্ন, কেন কথা বলতে দেয়া হয়নি চিত্রনায়ক রিয়াজকে?

ঘটনা হল, শুক্রবার দুপুর ১২টা। সভা চলছে। ওই সভায় বারবার সুযোগ চাচ্ছিলেন রিয়াজ। প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তবে কেন তাকে কথা বলতে দেয়া হয়নি? তা নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে হইচই।

অবশ্য পরে বিষয়টি পরিস্কার করেছেন রিয়াজ। বললেন, কমিটির কোষাধ্যক্ষ যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন, তা আমার কাছে পরিষ্কার না। দুই বছরে অনুদান হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সংগ্রহ করেছে ৫৮ লাখ টাকার বেশি। শিল্পীদের জন্য খরচ হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৩০০ টাকা। এই সহযোগিতার খরচ কি আরো বাড়ানো যেত না? আর পিকনিক বা ইফতারের অনুষ্ঠানে যে টাকা খরচ দেখানো হয়েছে তা স্বচ্ছ না। আমার কথা হচ্ছে, এই টাকা তো শিল্পীদের সহযোগিতার জন্য দাতারা অনুদান দিয়েছেন। কারো ব্যক্তিগত ফান্ড না। পিকনিকে ১৫ লাখ টাকার মত খরচ দেখানো হয়েছে। এত টাকা খরচ না করে তো শিল্পী সহযোগিতা করা যেত।

এদিকে, বার্ষিক সাধারণ সভায় চিত্রনায়ক রিয়াজকে কথা বলতে না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে মিশা সওদাগর বলেন, এখানে সাধারণ শিল্পীরা প্রশ্ন করবেন চলতি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জবাব দেবেন। তাই রিয়াজকে কথা বলতে দেয়া হয় নাই। এটি সাধারণ শিল্পীদের সভা, এখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বর্তমান কমিটির আর কেউ কথা বলতে পারবে না।

এরপর রিয়াজ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে যান। রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রে কোন ধারায় আছে এটি, সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বর্তমান কমিটির কেউ কথা বলতে পারবে না? এমন কোনো ধারা তো নেই। আমাকে এই গঠনতন্ত্রের ধারা দেখানো হোক।

আসলে আমি তাদের কান্ডকীর্তি ফাঁস করে দিতাম? রিয়াজ আরও বলেন, আগের ৬২৪ জন ভোটার থেকে এবার কমিয়ে ৪৪৯ জন করা হয়েছে। বাদ পড়া শিল্পীদের সহযোগী সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। সহযোগীদের ভোটাধিকার নেই। অনেক নতুন শিল্পীকে ভোটার করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে তালিকায় কিছু ব্যক্তির নাম রাখা হয়েছে, আবার একই নিয়মে অনেককে বাদ দেয়া হয়েছে। কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রভাব খাটিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছেন। এসব অনিয়মের ব্যাপারে মূলত সভায় কথা বলতে চেয়েছিলাম।