বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন মিথিলা ও সৃজিত , সৃজিত আসলে কে?

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন মিথিলা ও সৃজিত , সৃজিত আসলে কে?
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন মিথিলা ও সৃজিত , সৃজিত আসলে কে?

পোস্টকার্ড ( বিনোদন) ডেস্ক ।।

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় দুই তারকা রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়। অনেক দিন আগে থেকেই বিয়ের গুঞ্জন শুরু হয়। শুক্রবার তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ হতেই বাংলাদেশে সৃজিতকে নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তাই পাঠকদের জন্য সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হল।

ভারতের খ্যাতনামা পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়, চিত্রনাট্য ও অর্থনীতিবিদ হিসেবেও সুপরিচিত। ২০১০ সালে প্রথম চলচ্চিত্র অটোগ্রাফ পরিচালনার পরপরই আলোচনায় আসেন সৃজিত। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়। তার সবগুলো ছবিই সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয় এবং ব্যাপক সাড়া ফেলে। খুব দ্রুতই তিনি আলোচনায় আসেন।

১৯৭৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা সমরেশ মুখোপাধ্যায় স্থাপত্যবিদ্যার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, শিক্ষক ও চিত্রশিল্পী ছিলেন এবং মা শরীরবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।

সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার শৈশব জীবন শেষ করেন দোলনা ডে হাই স্কুল এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে। তারপরে তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.ফিল এবং পিএইচডি শেষ করেন।

অটোগ্রাফ ব্যাপক সাড়া ফেললে এরপর ২০১১ সালে তিনি নির্মাণ করেন ‘বাইশে শ্রাবণ’ ২০১২ সালে ‘হেমলক সোসাইটি’, ২০১৩ সালে ‘মিশর রহস্য’, ২০১৪ সালে ‘জাতিস্মর ও চতুষ্কোণ’, ২০১৫ সালে ‘নির্বাক’, ও ‘রাজকাহিনী’।

ভারতের ৬১তম জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কারে তার পরিচালিত ‘জাতিস্মর’ ছবিটি চারটি পুরষ্কার জিতে নেয়। ৬২তম জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার অনুষ্ঠানে তার পরিচালিত চতুষ্কোণ সিনেমাটির জন্য তিনি সেরা পরিচালক এবং সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে পুরষ্কার জিতে নেন।

অঞ্জন দত্ত সৃজিতকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। এর জবাবে সৃজিত বলেছিলেন,  এমন লোক ইন্ডাস্ট্রিতে কমই আছেন, যার সম্পর্কে অঞ্জনদা কটু কথা বলেননি। আমি এটা সিরিয়াসলি নিই না। বলতে পারেন, কোনওটাই নিই না। যখন উনি বলেন, ‘আমি সৃজিতকে ক্রিয়েটিভ দিক থেকে ইর্ষা করি’, তখনও না। আমি অঞ্জনদাকে অ্যাসিস্ট করেছি, কিছু-কিছু জায়গায় খুব মান্য করি, ব্যস। মোদ্দা কথাটা কী জানেন, আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। কারণ, আমি এখানে ছবি তৈরি করতে এসেছি। আর একটা কথা বিশ্বাস করি, একদিন সকলে মারা গেলে, এই রাগ, অভিমান কিছুই থাকবে না। থাকবে শুধু আমাদের ছবির ডিভিডিগুলো। দেখেছি, এই কথাটা বললে, সকলে ভীষণ উদ্বুদ্ধ হন। সুমনদা তো প্রথমে ‘জাতিস্মর’-এর মিউজক করতে হবে শুনে, না-ই বলে দিয়েছিলেন! কিন্তু যখন বললাম, “ছবিটাতে তোমাকে দরকার, এই সময়ের তোমাকে দরকার,” তখন রাজি হয়ে গেলেন!

সুত্র -সময়ের আলো ।