মহাসড়কে বাড়ছে নছিমন করিমন

মহাসড়কে বাড়ছে নছিমন করিমন
মহাসড়কে বাড়ছে নছিমন করিমন

মীরসরাই প্রতিনিধি।।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারণে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করতে পারছে না। কিন্তু দিনে দিনে বেড়ে চলেছে ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রচালিত নসিমন করিমন নামক দুর্ঘটনাপ্রবণ বাহন। ইতিমধ্যে মহাসড়ক কেন্দ্রিক উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার এলাকায় ব্যাপকহারে নছিমন-করিমন ব্যাটারি রিক্সা চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
গ্রামীণ জনপদে এর ব্যবহার ততোটা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও মহাসড়কে অনেকসময় বড় যানের সাথে ওইসব গাড়িকে পাল্লা দিয়েই চলতে দেখা যায়। সম্প্রতি মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট পৌরসভার মহাসড়ক থেকে শুরু করে প্রতিটি সড়কেই এই বাহন বেড়ে চলতে দেখা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে দেয়া অগণিত ব্যাটারি রিক্সা এখন বারইয়াহাট- সোনাপাহাড়, মস্তাননগর – সোনাপাপাহাড় এলাকা সহ আসেপাশের মহাসড়কেই পাল্লা দিয়েই চলে।

অবাধে মহাসড়কে নছিমন চলাচল করলেও পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসন কারো নজরদারি নেই নছিমন করিমন নিয়ে। পুলিশকে ফাঁক দিয়ে অনেক সময় নসিমন গুলো মালামাল নিয়ে, কখনো মানুষ নিয়েই চলাচল করছে মহাসড়কে। অন্যান্য রাস্তাগুলোতে তো আছেই। সিএনজি মহাসড়ক থেকে উঠে গেলে ও বারইয়াহাট পৌর বাজারে মহাসড়কের উপরেই লাইন ধরে পার্কিংয়ে অবস্থান করছে নছিমন স্ট্যাণ্ড। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত স্ট্যাণ্ড ব্যতিরেকে বারইয়াহাট বাজার এলাকায় মহাসড়কের দুটি লেইন বাস ও মাইক্রো পার্কিং স্ট্যাণ্ড হিসেবেই রহস্যজনকভাবে দখল করে আছে।

আঞ্চলিক সড়কগুলোর মধ্যে বারইয়াহাট-রামগড় সড়ক, বারইয়াহাট-শান্তিরহাট সড়ক, মিঠাছড়া-বামনসুন্দর দারোগাহাট সড়ক, জোরারগঞ্জ-আবুরহাট সড়ক, জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক, নিজামপুর-ভোরেরবাজার সড়ক, বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়ক, বড়দারোগাহাট-কমরআলী সড়কে ও অবৈধ নসিমন চলছে অবাধে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে চলাচল করায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার জন্ম দিচ্ছে এসব নছিমন-করিমন। এসব গাড়ির বিআরটিএ থেকে কোন অনুমোদন নেই। নেই সিগন্যাল লাইট, নেই হর্ণ, নেই যথাযথ যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ। অভিযোগ রয়েছে, মাঝে-মধ্যে অভিযান চালিয়ে ভটভটি-নসিমন আটক করলেও বিশেষ সিন্ডিকেটের তদবির বা অনুরোধে আবার ছেড়ে দেয়া হয়।

এবিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি সোহেল সরকার জানান- আমরা বিভিন্ন সময় এসব ভটভটি বা রিক্সা পেলে চাকা খুলে ফেলি, পাম্প ছেড়ে দিই । মহাসড়ক দ্বিতীয় বার দেখলে গাড়ি আটক করা হবে জানিয়ে দিই। তিনি আরো বলেন- মহাসড়কের এই অঞ্চলের বারইয়াহাট ও মীরসরাই পৌরসভার ৪ কিলোমিটার অংশ আমাদের দায়িত্বে নয়, তাই সেখানে আমরা অভিযানও পরিচালনা করি না।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসন চাইলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে পারে।