শিবির ভাঙ্গচুর করল বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ

শিবির ভাঙ্গচুর করল বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙ্গচুর এবং ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদে শনিবার ক্যাম্পাসে সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগ নেতারা প্রতিবাদ সভায় বলেন, আইআইইউসি থেকে কিভাবে ছাত্রলীগকে চিরতরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা যায় সে ব্যবস্থা করার পাঁয়তারা করছে কতিপয় নামধারী কিছু শিবির-জামাতপন্থী শিক্ষক। আর তাদেরকে সহযোগিতা করছে আবাসিক হলে থাকা শিবিরের নেতারা। এর জলন্ত উদাহরণ গত কয়েকদিন আগে অনেকটা নাটকীয় কায়দায় কোন রকম নোটিশ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাড়ার ঘোষণা দেন। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিল। বন্ধের সিদ্ধান্তের সাথে সাথে তা বাস্তবায়ন করতে জামাতপন্থী কিছু শিক্ষক বহিরাগত শিবির ক্যাডার নিয়ে হল খালি করতে যায় এবং সেখানে চিহ্নিত শিক্ষকদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাংচুর করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রদের গরীব ফান্ড থাকলে তা শুধু শিবির সমর্থিতদের স্বার্থে স্যারেরা ব্যবহার করেন এবং বলেন- মনে আল্লাহর ভয় থাকলে ছাত্রলীগ বাদ দিয়ে আল্লাহর পথের দল সমর্থন কর বলে উস্কানি প্রদান করেন। একইভাবে আমরা ছাত্রলীগ কর্তৃক সাধারণ ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা সাজানো নাটক বলে দাবি করছি। এগুলো সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় জামাতপন্থী শিক্ষক ও শিবিরের ক্যাডারদের সাজানো নাটকমাত্র। আমরা খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় হল খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র প্রতিনিধি আবু নাছের জুয়েল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের জন্য ফান্ডের যথাযথ ব্যাবস্থাপনার দাবি তুলে। এতে কিছু শিক্ষকের তালবাহানা ও ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী এক শিক্ষার্থী নিয়ে শিবিরের সাথে ঝামেলা তৈরি হয়। এর প্রেক্ষিতে জরুরি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত আসে সেখানে ভাঙ্গচুরের ঘটনার অভিযোগ উঠে। আমাদের কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো নিয়ে অবগত আছেন। আমরা আশা করি অতিসত্বর কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে আশু সমাধান করবেন। ছাত্রনেতা আসিফ ইকবাল সৌরভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারণে আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলবস্থা চলছে। আমরা এর দ্রুত সমাধান কামনা করি।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের ইসলাম ডলার বলেন, পিতা মুজিব আমাদের আবেগের স্থান, উনার ছবির উপর হামলা চরম ধৃষ্টতা। একটি দেশবিরোধী চক্র সুদীর্ঘ সময় ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেই সুনির্দিষ্ট দেশবিরোধীচক্র আবারো তাদের স্বরূপে ফিরে এসেছে। আমরা তাদেরকে কোনরূপ ছাড় দিবো না। ছাত্রনেতা শাহরিয়ার হামিদের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন আব্দুল জব্বার নাঈম, শফিউল, রবিউল, উচো মার্মা, ইথান, সাকিব, তুষার, আরমান, ফাহিম, ইসরাক, আনান, আবিদসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।