স্কুল-কলেজে টিউশন ফি ছাড়া আর কোনো ফি নিতে নিষেধ সত্ত্বেও সীতাকুন্ড এমপি'র স্কুলে সেশন ফি নেয়া হচ্ছে

স্কুল-কলেজে টিউশন ফি ছাড়া আর কোনো ফি নিতে নিষেধ সত্ত্বেও সীতাকুন্ড এমপি'র স্কুলে সেশন ফি নেয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

করোনাকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন স্কুল-কলেজ) শুধু নির্ধারিত টিউশন ফি আদায় করতে পারবে বলা হলেও বেশকিছু স্কুল/কলেজ সেশন ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে । তৎমধ্যে সীতাকুন্ড আসনের এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উত্তর কাট্টলী আলহাজ্ব মোস্তফা-হাকিম হাইস্কুলও রয়েছে ।

অথচ সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বলা আছে টিউশন ফি'র বাইরে  অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনর্ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি আদায় করতে পারবে না। করা হয়ে থাকলে, তা ফেরত দিতে হবে অথবা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। একইভাবে অন্য কোনো ফি যদি ব্যয় না হয়ে থাকে, তাহলে তাও ফেরত দিতে হবে অথবা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

তাছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে পড়েন, তাহলে তাঁর সন্তানের টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবে। আর কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন কোনো কারণে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যত্নশীল হতে হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় আগের মতো সব ধরনের যৌক্তিক ফি আদায় করা যাবে।

উত্তর কাট্টলী আলহাজ্ব মোস্তফা-হাকিম হাইস্কুল একজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, তাঁর সন্তান সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। এর জন্য গত বছরের সব টিউশন ফি ছাড়াও অন্যান্য চার্জ মোট পাঁচ হাজার টাকা ছাড়াও আইসিটি বাবদ , অনলাইন হোম টেস্ট বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ রকমভাবে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বিভিন্ন ধরনের ফি নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই অভিভাবকেরা ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন।

মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের শুরুতেও যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন কোনো ফি, যেমন টিফিন, পুনর্ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন ফি নেবে না, যা ওই নির্দিষ্ট খাতে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করতে পারবে না