সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া নৌঘাটে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ ৫০ ঘণ্টা পর উদ্ধার

সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া নৌঘাটে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ ৫০ ঘণ্টা পর উদ্ধার
সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া নৌঘাটে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ ৫০ ঘণ্টা পর উদ্ধার

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া নৌঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ ৫০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে গুপ্তছড়া নৌঘাট থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি চর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কিরীটি রঞ্জন বড়ুয়া আজ দুপুরে জানান, আজ সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে টহল দিচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে কাটাখালী খালের মুখে একটি চর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা উপকূল থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া উপকূলে সার্ভিস বোট পৌঁছালে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন আবদুল মান্নান (৬০) নামের ওই ব্যক্তি। নিখোঁজের ঘটনায় গতকাল সন্দ্বীপ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী শেফা বেগম।

দুর্ঘটনার দিনে প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী তানভীর মাহমুদ বলেছিলেন, কুমিরা নৌঘাট থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে একটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সার্ভিস বোটটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়। সন্দ্বীপ চ্যানেল খুবই উত্তাল ছিল। প্রচণ্ড বাতাস ছিল। সার্ভিস বোটটি উপকূলের বাইরে নোঙর করে। এ সময় যাত্রী নামানোর জন্য তিনটি লাল বোট আসে। দুটি লাল বোটে যাত্রীরা উপকূলে পৌঁছায়। তৃতীয় বোটে প্রথমে তাঁরা চারজন যাত্রী নামেন, এরপর একজন ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তি নামার সময় লাল বোটটি ঢেউয়ের কারণে সার্ভিস ট্রলার থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়। এতে তিনি সাগরে পড়ে যান। অন্য যাত্রীরা সাগরে পড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধারে চিৎকার করলেও লাল বোটের শ্রমিকেরা উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি। ফলে লোকটি ডুবে যান। অনেকক্ষণ পর লাল বোটের লোকজন নিখোঁজ লোকটিকে খুঁজতে শুরু করেন।

উল্লেখ্য , গত ২০ এপ্রিল গুপ্তছড়া ঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন শিশুসহ চারজন নিহত হয়। ২০১৭ সালেও এই ঘাটে লাল বোট দুর্ঘটনায় ১৮ যাত্রীর মৃত্যু হয়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;