স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওয়াই-ফাই

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওয়াই-ফাই
ক্ষতি করে যেভাবে : শিশুদের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই-এর কুপ্রভাবে তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। নারীদের এনার্জি লেভেল অনেক কমে যায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে মনঃসংযোগের অভাব দেখা দেয়।
 
ওয়াই-ফাই বিকিরণের মারাত্মক প্রভাবে পুরুষদের স্পার্ম ও ডিএনএতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কোষের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় ওয়াই-ফাই বিকিরণ।  কোনো ঘরে ওয়াই-ফাই চালু থাকলে সেই বিকিরণের প্রভাবে অনেকের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।
 
হার্টের দুর্বলতা রয়েছে যাদের, তাদের এ ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হতে পারে।
 
মাত্রাতিরিক্ত বিকিরণের কারণে যে কারোর মাথাব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। প্রথমে বোঝা না গেলেও পরের দিকে তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
 
দিনের অনেকটা সময় ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনের মধ্যে থাকলে অনিদ্রার সমস্যা হয়। এ ছাড়া কাজকর্মে মনোযোগের অভাব, কান ব্যথা, শরীরে ক্লান্তি ভাব থাকা ইত্যাদি ঘটতে পারে।
 
করণীয় : ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকতে কিছু সতর্কতা মেনে চলা যেতে পারে। এতে ওয়াই-ফাইয়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে। এ জন্য কিছু করণীয় হলো
যতটা সম্ভব কম পরিমাণে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করুন। পারতপক্ষে বর্জন করুন।
 
রাতে বা ঘুমের সময় রাউটারটি অফ করে রাখুন। এতে অল্প সময়ের জন্য হলেও তড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গপ্রবাহ বন্ধ থাকবে।
 
ওয়াই-ফাইয়ের রাউটারের সিগন্যাল লেভেল সব সময় কমিয়ে রাখুন।
 
শোবারঘরে কখনও রাউটার রাখবেন না।
 
শিশু ও গর্ভবতী নারীদের রাউটারের আশপাশ থেকে দূরে রাখুন।
 
ইন্টারনেট ব্যবহার শেষে রাউটারের সুইচ অফ করে দিন।
 
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ এম আব্দুর রহিম

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দিনাজপুর।