সমবেদনা জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার চিঠি

সমবেদনা জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে চিঠির মাধ্যমে সমবেদনা জানিয়েছেন । প্রেরিত চিঠিতে করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে প্রস্তুত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেন ‘আমাদের সরকার পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যমান সহযোগিতার চেতনায় সবসময় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে এবং সফল হওয়ার সংকল্পে প্রস্তুত রয়েছে,’।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ.বি.এম. সারোয়ার-ই-আলম বলেন, চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস থেকে দ্রুততম সময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করেন।

চিঠিতে তিনি আরও লিখেন ‘যখন আমরা সকলেই মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে এবং প্রাণহানির বিরুদ্ধে আমাদের নিজস্ব লড়াই এবং চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে লড়ছি তখন আমি আপনার বিশেষকরে চূড়ান্ত লকডাউন, সমর্থনকারী আইন এবং আর্থিক উদ্দীপনাসহ যুক্তরাজ্যের জনগণকে করোনাভাইরাসের ধ্বংস এবং মৃত্যু থেকে রক্ষার জন্য আপনার সময়োচিত এবং গতিশীল নেতৃত্বের পদক্ষেপগুলোর অনুসরণ করছি’,।

এই মারাত্মক ভাইরাস প্রতিরোধে তার সরকারের পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী এই মহামারি সম্পর্কে উদ্বেগকে অনুধাবন করে সরকার এই সংকটের শুরু থেকেই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানুয়ারি মাস থেকেই আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগত সন্দেহভাজনদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং এবং সেইসাথে আলাদা কোয়ারেন্টাইন জোনের ব্যবস্থা করেছি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার এবং এর বিভিন্ন ধরণ মোকাবিলার জন্য একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় কমিটি সহ বিভিন্ন মাত্রার টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।

‘আমরা মনোনীত হাসপাতালগুলি প্রস্তুত করেছিলাম, এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে সজ্জিত করেছি। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেই এবং সম্প্রদায়ের মাঝে এর বিস্তার রোধে সংক্রমজনিক অঞ্চলগুলোকে লকডাউন করে দেই এবং জনগণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেই’,বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্রে করে সকল জনসমাগম স্থগিত করেছে সরকার। সকল রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক পুনর্মিলনীও বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এই মাসের ২৫ তারিখ থেকে জরুরি সেবাগুলো ছাড়া সকল সরকারি এবং বেসরকারি অফিস ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছি। আমাদের জনগণকে এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য দল এবং সরকার উভয় পক্ষ থেকেই গণসচেতনতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের কারণে সরকার এ পর্যন্ত ৪৮টি করোনা আক্রান্তের ঘটনা শনাক্ত করেছে। যেখানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৫টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং ১৫ জন সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেছে।