অবৈধ মোটরসাইকেল চালক ১৩ লাখ, ফিটনেসবিহীন বাস ১৮ হাজার ৫৫৩টি

অবৈধ মোটরসাইকেল চালক ১৩ লাখ, ফিটনেসবিহীন বাস  ১৮ হাজার ৫৫৩টি
অবৈধ মোটরসাইকেল চালক ১৩ লাখ, ফিটনেসবিহীন বাস ১৮ হাজার ৫৫৩টি

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

ফিটনেসবিহীন বাস সারা দেশে ১৮ হাজার ৫৫৩টি  ও বৈধ চালকহীন মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩৬টি। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে মোট বাসের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৭০২টি। এরমধ্যে ফিটনেস আছে ২৮ হাজার ১৪৯টি বাসের। বাকি ১৮ হাজার ৫৫৩টি বাসের কোনো ফিটনেস নেই বা আনফিট।

অন্যদিকে  সারাদেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩টি। ২৬ লাখের অধিক মোটরসাইকেলের মধ্য পেশাদার ও অপেশাদার মিলে মোট ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭ জনের লাইসেন্স আছে। ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩৬টি মোটরসাইকেল চলে অবৈধ চালকের হাতে।

এর মধ্যে পেশাদার লাইসেন্স আছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার ২৭৩ জনের। এরমধ্যে আবার ১৫১ জন নারী। অন্যদিকে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৮১৪ জন চালকের অপেশাদার লাইসেন্স রয়েছে। এরমধ্যে নারী চালকের সংখ্যা সাত হাজার ৭৮৮ জন

পরিবহন নেতারা জানান, রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সনদ নেই এমন অসংখ্য গাড়িও রয়েছে। এসব গাড়ির প্রকৃত হিসাব বিআরটিএ ও মালিকদের কাছে নেই। আইন অনুযায়ী, গাড়ির ফিটনেস সনদ ও লাইসেন্সধারী ড্রাইভার না থাকলে তা রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। এসব গাড়ি চলাচল বন্ধে বিআরটিএ ও পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়ার বিধান রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু পুলিশ ও পরিবহন সমিতিগুলো ম্যানেজ করেই চলছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি। এতে ঝুঁকিতে পড়ছে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বিআরটিএ সচিব একেএম মাসুদুর রহমান জানান, ফিটনেসবিহীন বাস ও অবৈধ মোটরসাইকেল চালকদের কারণে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। আমরা এদের আর ছাড় দেব না। ২০২০ সালের জুন পযর্ন্ত আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপরে ফিটনেসবিহীন বাস সড়কে পাওয়া গেলেই ডাম্পিংয়ে দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।