অভিভাবকরা নবজাতকের টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায়

অভিভাবকরা নবজাতকের টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায়

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

শিশুদের বিভিন্ন মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক টিকা নিতে পারছে না ‘লকডাউনের’ কারণে । সামাজিক দূরত্বসহ ঘরে অবস্থানের কারণে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) গত এক মাস থেকে এই সেবা পেতে বিঘ্ন ঘটছে অভিভাকদের। যথাসময়ে নবজাতকের বিভিন্ন রোগের এসব প্রতিষেধক টিকা দেওয়া নিয়ে মা-বাবারা এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান, নগরীতে ২৮০টি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চালু রয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে টিকা কেন্দ্রে এসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিশুদের টিকা দিতে পারবেন। আমরা ঐভাবে ব্যবস্থা রেখেছি।

তিনি আরো জানান, লকডাউনের কারণে যেসব অভিভাবক আসতে পারবেন না পরবর্তীতে এসে তা দিতে পারবেন। তাতে কোনো অসুবিধা হবে না।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের এক বছরের মধ্যে শিশুদের বিভিন্ন মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে পাঁচটি টিকা দেওয়া হয়। ছাড়া সন্তান ধারণে সক্ষম ও গর্ভবতী নারীদের দেওয়া হয় টিটেনাস টিকা (টিটি)। ধনুষ্টঙ্কার, ডিপথেরিয়া, পোলিও, হুপিং কাশি, হাম, হেপাটাইটিস বি, যক্ষ্মা ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো প্রাণঘাতি এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে টিকা দেওয়া হয়। এই মহামারিতেও সরকারিভাবে এসব রোগের টিকা আমরা চলমান রেখেছি।

এদিকে ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল দেশব্যাপী পরিচালিত হওয়ার কথা ছিলো জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন-২০২০ করোনাভাইরাসের তাও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

অবশ্য ইউনিসেফ বলেছে, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে যদি টিকা কর্মসূচি স্থগিতের মতো জটিল সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাহলে আমরা বিশ্বনেতাদের কাছে টিকা না দেওয়া শিশুদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানাবো, যাতে সবচেয়ে অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে যত দ্রুত সম্ভব হামের টিকা দেওয়া যায়।’

ইউনিসেফের তথ্যমতে, বিশ্বের ৩৭ টি দেশের ১১ কোটি ৭০ লাখ শিশুদের টিকা দেয়া হয়। এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এবার হামের প্রকোপ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, করোনার কারণে কিছু টিকা প্রকল্প বিলম্বিত হলে এই প্রকোপ দেখা দিতে পারে।

তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিশুদের যথাযথ টিকাগুলো দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এসব টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে মারাত্মক অসুখ থেকে শিশুদের রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।