আনোয়ারা চাতরীর কান্দুরিয়া খালের কালভার্ট ভেঙে মানুষের দূর্ভোগ

আনোয়ারা চাতরীর কান্দুরিয়া খালের কালভার্ট ভেঙে মানুষের দূর্ভোগ
আনোয়ারা চাতরীর কান্দুরিয়া খালের কালভার্ট ভেঙে মানুষের দূর্ভোগ

জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ার।।

উপজেলার চাতরী ইউনিয়নে ও আনোয়ারা সদরের খিল পাড়া এলাকায় অবস্থিত কান্দুরিয়া খালের কার্লভার্টটি ৮ বছরের অধিক সময় ধরে ভেঙে পড়ে থকায় ২ ইউনিয়নের ১০ হাজারেরও অধিক মানুষের চলাচলে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ। এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস জানায় ঐ জাগায় একটি গার্ডার ব্রীজের প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ।

সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, কার্লভার্টের ভাঙা অংশ খালের মাঝে পড়ে রয়েছে। বর্ষার পাহাড়ি ঢলের তিব্র স্রোতে স্থানীয়দের নির্মান করা বাঁেশর সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারা-পার করছে লোকজন। দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকায় ভোতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে কার্লভার্ট এলাকা।

স্থানীয়রা জানাযায়, চাতরী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের খিলপাড়া, বারখাইন ইউনিয়নের বেলছুড়া এলাকাসহ এ অঞ্চলের ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ কৃষি কাজ, হাট বাজার, স্কুল কলেজে যাথায়াতসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে কার্লভার্টটি দিয়ে খালের এপার ওপার যাথায়াত করে। ফলে কার্লভার্টটি এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের গুরুত্ব পূর্ণ মাধ্যম। এলাকাবাসীর দাবী অতিদ্রুত এখানে একটি সেতু নির্মাণ করে জনদূর্ভোগ লাগব কারার উদ্যোগ নেয়া হউক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম মুন্সি জানায়, ৭ বছরের অধিক সময় ধরে বক্স কালর্ভাটটি ভেঙে খালে চলে যাওয়ায় এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ নেই। যার কারণে এলাকার মানুষের কৃষি,হাটবাজার, স্কুল কলেজ ও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়ে গেছে।

চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন হিরু জানায়, ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খালের বক্স কালর্ভাটটি ৭-৮ বছরের অধিক সময় ধরে খালে ভেঙে পড়ায় জনদূর্ভোগ বেড়ে গেছে। এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা সমন্বয় সভায় দাবী জানানো হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে একটি বক্স কালর্ভাটের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ত্রি-মুখী খালের স্রোতে ও বর্ষার ঢলের কথা বিবেচনা করে পরবর্তিতে বক্স কালর্ভাট নির্মান প্রক্রিয়া বাতিল করে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম জানান, বক্স কালর্ভাটটি ভেঙে পড়ার পর আরো একটি কালর্ভাট নির্মাণের অনুমোদ দেয়া হয়। কিন্তু খালের স্রোত, বর্ষার ঢলের কারণে ভাঙনের কথা বিবেচনায় রেখে এ জাগায় একটি গার্ডার ব্রীজের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর-পরই প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।