আমরা ভালো আছি, নিরাপদে আছি : সিফাত-শিপ্রা

আমরা ভালো আছি, নিরাপদে আছি : সিফাত-শিপ্রা

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।

আমরা ভালো আছি, নিরাপদে আছি। আপাতত এটুকুই বললাম। পরে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো। আমরা আপনাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।

সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে কক্সবাজারের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাত।

মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছেন জানিয়ে তারা বলেন, আমাদের কিছুদিন সময় দেন। আমরা সব বলবো। আমাদের নম্বর বিহীন সাদা গাড়ি নিয়ে গেছে এ কথা সঠিক নয়,এটা আমাদের পারিবারিক গাড়ি।

‘আমরা কারাগারেও ভালো ছিলাম। এখনো ভালো আছি’, যোগ করেন সিফাত।

শিপ্রা দেবনাথ বলেন, প্লিজ, প্রে ফর আস। সিফাত এবং আমি আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন, পাশে থাকবেন। আপাতত এতটুকুই বলার আছে। আমরা প্রত্যেকটা কথা বলব।

এদিকে সাহেদুল ইসলাম সিফাত সাংবাদিকদের বলেন, অনেক গণমাধ্যমে আমার পায়ে গুলি লেগেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এটা সঠিক নয়। মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। আমার পায়ে গুলি লাগেনি। আশা করি সুষ্ঠু তদন্ত হবে। আমরা রাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ।

সিফাত আরও বলেন,এতদিন জেলে ছিলাম তাই কিছুই জানতে পারিনি। এখন জেল থেকে বের হয়ে দেখছি প্রায় সব মিডিয়া আমাদের জন্য লিখেছে।

গত ৩১ জুলাই টেকনাফে মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাহেদুল ইসলাম সিফাত। হত্যার পর পুলিশ সিনহারা যে রিসোর্টে উঠেছিলেন সেখানে তল্লাশি চালায়। মদ ও গাঁজা রাখার অভিযোগে শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়। আর সিফাতের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে পুলিশ।

পুলিশের মামলায় সিফাতের বিরুদ্ধে পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় দশদিন পর রোববার শিপ্রা এবং পরদিন সিফাতকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।

ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানাতে কক্সবাজারে ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত।