আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ভারতের ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই - পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ভারতের ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই - পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন , আসামের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও আমরা ভারতের ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই ।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, এখন পর্যন্ত জানি এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা নিয়ে তারা বার বার বক্তব্য দিয়েছে। আমরা তাদের ওপর বিশ্বাস রাখছি। তিনি বলেন, কিছুটা উদ্বেগ তো আছেই। আমরা খেয়াল রাখছি। আমরা ভারতের ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানও দ্রুত হবে। আমাদের অনেক বন্ধু রাষ্ট্র যাদের মিয়ানমার ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। তাদের বলেছি রোহিঙ্গারা থাকলে অন্যদিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তোমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। এ অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। তোমাদের নিজেদের স্বার্থে এ সমস্যা সমাধানে সিরিয়াস হতে হবে। কারণ, সন্ত্রাসীদের কোনো বর্ডার নেই, দেশ নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনসহ সংশ্লিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বিষয়টি আমলে নিচ্ছে। আমার প্রত্যাশা সমাধান আসবে। প্রসঙ্গত, ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের প্রকৃত নাগরিকদের নামের তালিকা (এনআরসি) গত ৩১ অগাস্ট শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। ওই তালিকায় চূড়ান্তভাবে ঠাঁই হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ লোকের। তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজার মানুষ। তালিকা প্রকাশের পর ১৯ লাখ ৬ হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল।

১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির কথা বলা ছিল। ভিত্তিবর্ষ ধরা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ। কিন্তু দীর্ঘ টালবাহানায় নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা হয়ে ওঠেনি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এনআরসি তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়।

গোটা রাজ্যে খোলা হয় ২ হাজার ৫০০টি এনআরসি সেবাকেন্দ্র। ৫২ হাজার সরকারি কর্মী নিযুক্ত হন নাগরিক তালিকা তৈরির কাজে। খরচ হয় ১ হাজার ২২০ কোটি রুপি। নাগরিকপঞ্জিতে নাম তোলার জন্য মোট আবেদন জমা পড়ে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৪। চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় স্থান হয় ২ কোটি ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭ জনের। বাতিলের তালিকায় ঠাঁই হয় ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৭ জনের। পরে বাদ দেওয়া হয় আরও ১ লাখ ২ হাজার ৪৬৫ জনকে।