ক্রেতা শূণ্য সীতাকুণ্ডের পশুর হাট, ইজাদার-খামারি ও বেপারীদের কপালে ভাঁজ 

ক্রেতা শূণ্য সীতাকুণ্ডের পশুর হাট, ইজাদার-খামারি ও বেপারীদের কপালে ভাঁজ 
ক্রেতা শূণ্য সীতাকুণ্ডের পশুর হাট, ইজাদার-খামারি ও বেপারীদের কপালে ভাঁজ 

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ডে ক্রেতা শূণ্য পশুর হাট গুলো। হাটে পশু থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছেনা। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন লাভের আশায় দূরদূরান্ত থেকে পশু নিয়ে ছুটে আসা বিক্রেতারা। হাট ইজাদারদের কপালেও পড়েছে নিরাশার ভাঁজ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় বেশিরভাগ মানুষ হাটে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্টরা। সীতাকুণ্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১১ টি পশুর হাট রয়েছে। তবে শহর থেকে কিছু ক্রেতা আসায় খামারি ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কিছুটা স্বস্থি ফিরে আসলেও কাঙ্খিত বেচা-কেনা না হওয়ায় হতাশা ইজারাদাররা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পৌরসভার মন্থর হাট, ফকির হাট, বাড়বকুন্ড স্কুল মাঠ হাট, শেখের হাট, ভূইয়ার হাট,বড়দারগার হাট, ছোটদারগার হাট,মদন হাট,ভাটিয়ারী স্কুল মাঠ, ফৌজদারহাট কে এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বসা হাটে প্রচুর গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতারা সারা দিন অপেক্ষা করলেও ক্রেতার সংখ্যা হাতে-গোণা কয়েকজন। তবে উপজেলার হাটগুলোতে পশুর সংখ্যাও তেমন চোখেপড়ার মত নয়। অন্যান্য বছর এমন দিনে এ বাজার গুলোতে কয়েক হাজার পশু বিক্রির জন্য আনা হলেও এ বছর প্রায় বাজারে মাত্র শতাধিক পশুর দেখা মেলে।

জানাযায়, সীতাকুণ্ডের স্থায়ী ও অস্থায়ী ১১ টি পশুর হাট রয়েছে। অন্যান্য বছর কোরবানির আগের এ সময়ে প্রতিটি হাট-বাজার ক্রেতাদের আনাগোনায় সীতাকুন্ড মুখর থাকত। কিন্তু এবার ক্রেতার দেখা মিলছে না। ক্রেতার অভাবে অনেকটা সুনসান পরিবেশ পশুর হাটে। স্থানীয়রা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির প্রভাবে লোকজন ব্যবসায়ীদের বাড়ি গিয়ে গরু নিয়ে আসছে।

বাজারে গরু বিক্রি করতে আসা স্থানীয় বাঁশবাড়ীয়ার বাসিন্দা মো. সালাউদ্দীন জানায়, করোনার কারনে অধিকাংশ ক্রেতা বাজারে না এসে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে গরু কিনছেন। তাই ক্রেতার দেখা মিলছেনা। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখা গেছে গরু ব্যবসায়ী আলমগীরকে। তার চোখে-মুখে দেখা গেল দুশ্চিন্তার ভাঁজ। জানতে চাইলে আলমগীর  বলেন, সারাবছর কোরবানির জন্য বসে থাকি। প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন সাইজের ৩০টি দেশি গরু লালন-পালন করেছি। কিন্তু হাটে ক্রেতা নেই। যে কারণে দু’দিনে একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি

ফকির হাট বাজারের ইজারাদার শফি জানায়, করোনার কারণে বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কয়েক হাজার গরু-মহিষ নিয়ে খামারি ও ব্যবসায়ীরা বাজারে আসলেও প্রত্যাশিত বেচা-কেনা হয়নি।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, কোরবানকে সামনে রেখে সীতাকুণ্ডের হাট-বাজারে পুলিশের সার্বক্ষণিক টিম কাজ করছে। তাছাড়া বিভিন্ন সড়কে পুলিশের মোবাইল টিম টহলে রাখা হয়েছে।