করোনা সংক্রামনের উপযুক্ত স্হান হয়ে উঠতে পারে চট্টগ্রামের নতুন ফিশারীঘাট

করোনা সংক্রামনের উপযুক্ত স্হান হয়ে উঠতে পারে চট্টগ্রামের নতুন ফিশারীঘাট
করোনা সংক্রামনের উপযুক্ত স্হান হয়ে উঠতে পারে চট্টগ্রামের নতুন ফিশারীঘাট

মোঃ আলাউদ্দীন।।

চট্টগ্রামের  চাক্তাইয়ের পাশে নতুন ফিশারী ঘাট। প্রতিদিন সকালে হাজার হাজার মাছ ক্রেতা-বিক্রেতা, শ্রমিক-কর্মচারী এবং গাড়ি চালক ও সহকারীর উপস্থিতিতে বেশ জমজমাট থাকে।

এখানে সামাজিক দুরত্ব কী ও কেন দরকার তা ভাবার ফুসরত কারো নেই। শুধু গা ঘেষে চলা নয়, বরং অনেক ধাক্কাধাক্কিও হয়। প্রবেশ পথে পথে লেগে থাকে গাড়ির জট। খালি গাড়ি ঢুকে আর মাছবোঝাই গাড়ি বের হয়। সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই সেখানে।

ডুকতে সাইনবোর্ড : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক ইজারাকৃত আধুনিক মৎস্য বাজার।

এই বাজার থেকে সমগ্র চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায়, বান্দরবান, রাংগামাটি সহ আশে পাশে এই বাজার থেকে মাছ যায় এবং জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মৎস্য  ব্যবসায়ীরা আসা যাওয়া করে। সে কারণে এই বাজারে করোনা সংক্রমনের সম্ভবনা খুবই বেশী ও স্পর্শকাতর  মনে করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও মেট্টোপলিটন পুলিশের নাকের ডগায় করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্য স্পট আধুনিক মৎস্য বাজার নিয়ে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে চট্টগ্রামবাসীকে এক সময় চরম মূল্য দিতে হবে।

রেয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার,অক্সিজেন বাজার, সদরঘাট কালীবাড়ী বাজার নিকটস্থ মাঠে স্থানান্তর করা হলেও  নতুন ফিশারী ঘাট নিয়ে সময়ক্ষেপনে সচেতন চট্টগ্রামবাসী খুব উৎকন্ঠায়।

এই বিষয়ে সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির লিঃ এর সাধারন সম্পাদক বাবুল সরকারের কাছে মৎস্য বাজারে করোনার সম্ভাব্য সংক্রামন রোধে কি ব্যবস্তা নেওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান ইতিমধ্যে আমরা বাজার সীমিত আকারে চালাচ্ছি তা ছাড়া  প্রবেশ মূখে হাত পরিস্কার করে প্রবেশের ব্যবস্তা রেখেছি, সমাজিক দুরত্ব মেনে চলার জন্য  দৈনিক তিন/ চার বার মাইকিং করা হচেছ আগে থেকে খালি গাড়ি ডোকতে দেওয়া হচেছ না, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যাই সেখানে দুরুত্ব বজায় রাখা তো দুরের কথা ধাকাধাক্কি করে আসা যাওয়া করতে হচেছ।