করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আদায়কৃত বেতন মওকুফ সহ ৮ দফা দাবীতে ছাত্র ইউনিয়নের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু

করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আদায়কৃত বেতন মওকুফ সহ ৮ দফা দাবীতে ছাত্র ইউনিয়নের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু
করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আদায়কৃত বেতন মওকুফ সহ ৮ দফা দাবীতে ছাত্র ইউনিয়নের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের উদ্যোগে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় করোনাকালে বেতন ফি মওকুফ সহ ৮ দফা দাবীতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক টিকলু দে, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিশান রায়, কোতোয়ালী থানার শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এস এম নাবিল, শুভ দেবনাথ, বর্ষা দেবী, নাদিয়া নূর প্রাপ্তি, শুভ নাথসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ছাত্রনেতারা বলেন, “করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বেতন ফি আদায় অযৌক্তিক। এমনকি বাজার অর্থনীতির বিবেচনায়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল সুযোগ সুবিধা, লাইব্রেরি বন্ধ থাকার পরেও এসব ফি আদায় করাটা অনৈতিক। এছাড়া আমরা দেখতে পারছি সরকার সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাছে নতজানু হয়ে পাঠ্যবই থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিচ্ছে যা কিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাই আমরা এই পাঠ্যবই সাম্প্রদায়িকরণ বন্ধ ও অসাম্প্রদায়িক গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের দাবী জানাচ্ছি। এছাড়া সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আওয়াজ উঠলেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা সরকার বিবেচনা করছেনা। তাই আমরা সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার দাবী জানিয়েছি।”

ছাত্রনেতারা আরো বলেন, “প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও এইচএসসি ফলফল আজো প্রকাশিত হয়নি। যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি উন্নয়ন পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের রেজাল্ট কিভাবে নির্ধারিত হবে সে ব্যাপারেও কোন নির্দেশনা আসেনি। ফলে সামনে বেশ বড় ধরনের সেশনজটের আশঙ্কা করছি আমরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই ছাত্র ইউনিয়ন ৮ দফা দাবী দিয়েছে এবং এর সমর্থনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করছেন। এই কর্মসূচি ২ ফেব্রুয়ারি অবধি সারাদেশে পালিত হবে”

ছাত্র ইউনিয়নের ৮ দফা দাবী সমূহ হলো- ১. করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন ফি মওকুফ করতে হবে, ২. নামে বেনামে ফি আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ৩. বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে রোডম্যাপ করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, ৪. সেশনজট রোধে এইচএসসি ফল দ্রুত প্রকাশ করতে হবে, ৫. পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ করতে হবে, ৬. আবাসন হল খুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; হল থেকে সন্ত্রাসী ও অছাত্রদের বিতাড়ন করতে হবে, ৭. সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক কোর্স বাতিল করতে হবে, ৮. সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিতে হবে।