করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে চসিক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে চসিক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে চসিক

নিউজ ডেস্ক।।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের  মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন।  আজ সোমবার দুপুর থেকে টাইগারপাস্থ চসিক নগর ভবন থেকে এই প্রচারণা শুরু করেন তিনি। এসময় নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে হতাশ হবেন না । আপনাদের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এরপর নগরীর ইস্পাহানী মোড়, লালখান বাজার, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইট, ষোলশহর রেল স্টেশন মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দার হাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা,চেরাগীপাহাড়, জামালখান, কাজীর দেউরীসহ  বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘন্টা ঘুরে ঘুরে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এ প্রচারণা চালান মেয়র আলহাজ¦ আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন ।  

এসময় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু মেয়রের সাথে ছিলেন।

প্রচারণাকালে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের অন্তত ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে (সঙ্গনিরোধ) থাকা জরুরী। এতে করে পরিবার, আত্মীয় স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা এই ভাইরাস সংক্রামন হতে রক্ষা পাবে। ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় অপ্রয়োজনে জনসমাগম এড়িয়ে নিজের বাসায় অবস্থান করুন। অহেতুক বাইরে ঘোরাঘুরি থেকে বিরত থাকুন। এসময় তিনি করোনা ভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঢালাওভাবে অপ -প্রচার প্রচারণা চালিয়ে তথ্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার অনুরোধ মেয়রের।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জেনারেল হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ড মেডিকেল সেন্টারে নিয়োজিত ডাক্তারদেরকে এই সংক্রান্তে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে চসিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে। এই প্রসেঙ্গ তিনি আরো বলেন করোনা ভাইরাস একটি ছোয়াছে রোগ। এ রোগ পরস্পর পরস্পারের মধ্যে ছড়ায়। তাই এধরণের রোগী থাকলে জরুরী ভিত্তিতে আমাদেরকে সংবাদ দিন। আমরাই তাকে পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলবো।

করোনা ভাইরাসে  মেয়র আক্রান্তদের  চিকিৎসার ব্যয়ভার চসিক বহন করবে বলে ঘোষনা দেন। তিনি বলেন সঠিকভাবে পরিচর্যা করা গেলে এধরণে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই,সচেতনতাই এর উত্তম পন্থা। মেয়র  বলেন, করোনা শংকার কারণে নিম্নজীবী মানুষকে সাময়িক কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে। তাদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হবে। এই দু:সময়ে নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে নিম্নজীবী মানুষের পাশে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান মেয়রের। এ সময় সিটি মেয়র বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেকের মধ্যে আতংক তৈরি হয়েছে। সেজন্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন। আপনারা যদি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন পরিবার,সমাজ এবং এই শহরটাও নিরাপদ থাকবে। তাই করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হচ্ছে সচেতনতা। এই ভাইরাস বেশি সংক্রমন এর ঝুকি থাকে মানুষের হাতে। তাই সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধৌত করে শুকনো কাপড় দিয়ে হাত মুছে ফেলবেন। বাড়ি ও কর্মক্ষেত্র প্রতিদিন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নগরবাসীর বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের  না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিটি মেয়র বলেন যদি কাজে যেতে হয় তাহলে যতদুর সম্ভব পায়ে হেটে যাবেন। প্রচারকালে মোড়ে মোড়ে সিটি মেয়র জনসাধারণের নিকট সচেতনতামূলক মাস্ক ,হ্যান্ডসেনিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, লিফলেট, সাবান বিতরণ ও করেন।